গড়াপেটা বিতর্কে নয়া মোড়, হঠাত্ অবসর অভিযুক্ত খেলোয়াড়ের

অলিম্পিকে গড়াপেটা বিতর্কে নয়া মোড়। গড়াপেটার অভিযোগে সাসপেন্ড হওয়া চিনা ব্যাডমিন্টন তারকা ইয়ু ইয়াং বিদায় জানালেন ব্যাডমিন্টনকে। অন্যদিকে গড়াপেটা বিতর্ক দমন করতে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে আইওসি।

Updated By: Aug 2, 2012, 04:19 PM IST

অলিম্পিকে গড়াপেটা বিতর্কে নয়া মোড়। গড়াপেটার অভিযোগে সাসপেন্ড হওয়া চিনা ব্যাডমিন্টন তারকা ইয়ু ইয়াং বিদায় জানালেন ব্যাডমিন্টনকে। অন্যদিকে গড়াপেটা বিতর্ক দমন করতে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে আইওসি। আইওসি প্রধান জাঁক রজ জানিয়েছেন, ব্যাডমিন্টনে গড়াপেটা বিতর্ক ইস্যুতে আরও তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে ইন্টারন্যাশানাল অলিম্পিক কমিটি।
লন্ডন অলিম্পিকে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে বুধবার আটজন মহিলা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ের খেলার যোগ্যতা বাতিল হয়ে যায়। তার মধ্যে অন্যতম চিনের ইউ ইয়াং হঠাত্ই বৃহস্পতিবারঅবসর নিয়ে নেন। ইউ ইয়াং বিদায়ের সময় জানান, তিনি ভগ্নহৃদয়েই ছেড়ে দিচ্ছেন তাঁর সবচেয়ে প্রিয় খেলা ব্যাডমিন্টন। প্রসঙ্গত তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গ্রুপ পর্যায়ের প্রথমদিকের ম্যাচে ইচ্ছাকৃতভাবে হেরে গিয়েছে। কারণ, গ্রুপের পরবর্তী ম্যাচে যাতে প্রতিপক্ষ নিজেদের পছন্দমতো হয় এবং পরে জয়ের রাস্তা যাতে অপেক্ষাকৃত সহজ হয়, সেই হিসেবে অঙ্ক কষে অভিযুক্ত দলগুলি হেরে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ম্যাচ খেলেছে।    
বাতিল হওয়া ৮ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ৪ জন, চিনের ২ জন এবং ইন্দোনেশিয়ার ২ জন খেলোয়াড়।

যেই ৪ জুটি এই শাস্তির কোপে পড়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন
শীর্ষবাছাই জুটি দক্ষিণ কোরিয়ার জঙ কিয়াং-ইয়ান ও কিম হা-না
দক্ষিণ কোরিয়ারই তৃতীয় বাছাই জুটি হা জঙ-ইয়ান ও কিম মিন জঙ
চিনের ইউ ইয়াং ও ওয়্যাং জিয়াওলি জুটিকে প্রতিযোগিতা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে
ইন্দোনেশিয়ার মেলিয়ানা জুয়াহারি ও গ্রেসিয়া পলি জুটিকেও একই শাস্তির কোপে পড়তে হয়েছে
অভিযোগ, গ্রুপ পর্যায়ের প্রথমদিকের ম্যাচে ইচ্ছাকৃতভাবে হেরে গিয়েছে অভিযুক্ত চার জুটি। কারণ, গ্রুপের পরবর্তী ম্যাচে যাতে প্রতিপক্ষ নিজেদের পছন্দমতো হয় এবং পরে জয়ের রাস্তা যাতে অপেক্ষাকৃত সহজ হয়, সেই হিসেবে অঙ্ক কষে অভিযুক্ত দলগুলি হেরে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ম্যাচ খেলেছে। অভিযুক্ত দলগুলির খেলার মান এতে এতটাই নেমে যায়, যে একসময় উত্তেজিত দর্শকরা পর্যন্ত তাঁদের লক্ষ্য করে কটূক্তি শুরু করে। ম্যাচ রেফারিকেও একাধিকবার তাঁদের এনিয়ে সতর্ক করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এরপরও ম্যাচ হারতে নিজেদের চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়া, চিন ও ইন্দোনেশিয়ার চার জুটি। যার ফল দাঁড়ায় অত্যন্ত নিম্নমানের খেলা।
ইচ্ছে করে খারাপ খেলার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার কোচ সাং হান-কুক। তবে তাঁর বক্তব্য, এর শুরুটা করেছিল চিন। চিনও অভ্যন্তরীণভাবে এই ঘটনার তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে। গোটা ঘটনায় কলঙ্কিত অলিম্পিক।বিশ্বক্রীড়ায় আলোড়ন তোলা এই গড়াপেটা কেলেঙ্কারির তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন আইওসি প্রধান জাঁক রজ।আইওসি প্রধান জানিয়েছেন,যদি প্রয়োজন হয় আরও তদন্ত করা হবে এই ইস্যুতে।আইওসি কড়া নজর রাখছে গড়াপেটায় অভিযুক্ত দেশগুলির ফেডারেশনের দিকে। ফেডারেশন অভিযুক্ত খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়, তাদেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন, আইওসি প্রধান জাঁক রজ।

.