T20 World Cup-র সেরা পারফরমার: যুবরাজ সিংয়ের ছয়টি ছক্কা থেকে উমর গুলের ৫ উইকেট
তিনি সুপার ৮-এর খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি২০-র ইতিহাসে নিজের নাম লিখে ফেলেন যুবরাজ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিস্ময়কর সেঞ্চুরি এবং বিস্ফোরক বাউন্ডারি মারার থেকে শুরু করে ধ্বংসাত্মক বোলিং স্পেল, ২০০৭ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে টি২০ বিশ্বকাপ অগণিত আইকনিক মুহূর্ত প্রদান করেছে। টি২০ বিশ্বকাপ ইতিমধ্যেই আবার শুরু হচ্ছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) গত ১৪ বছরে টুর্নামেন্টে সেরা ছয়টি ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।
যুবরাজ সিং বনাম ইংল্যান্ড (২০০৭)
২০০৭ T20 বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টটি যুবরাজ সিংয়ের অসাধারণ ব্যক্তিগত প্রদর্শনের জন্য সবচেয়ে বেশি স্মরণীয় হয়ে থাকবে, যিনি ভারতকে উদ্বোধনী বিশ্বকাপে শিরোপা জেতানোর পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। তিনি সুপার ৮-এর খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি২০-র ইতিহাসে নিজের নাম লিখে ফেলেন। স্টুয়ার্ট ব্রডের একটি ওভারে ছয়টি ছক্কা মেরে দ্রুততম ৫০ (১২ বল থেকে) রান করার রেকর্ড করেন। সেই খেলায় ভারত ১৮ রানে জয়লাভ করে। যুবরাজ এরপরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের সেমিফাইনালে জয়ের ম্যাচে অসাধারণ খেলেন। একটি অসাধারন বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে নির্মম ইনিংসে মাত্র ৩০ বলে ৭০ রান করেন তিনি।
উমার গুল বনাম নিউজিল্যান্ড (২০১০)
টি২০ ফরম্যাটে বোলারদের প্রায়ই উপেক্ষা করা হয় কারণ বড় হিটিংয়ের তৃষ্ণা বোলিংয়ের উপর আধিপত্য বিস্তার করে। কিন্তু ২০১০ সালের টুর্নামেন্ট দেখেছিল এই খেলার ইতিহাসের দুটি সেরা স্পেল। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সুপার ৮-এর খেলায় উমার গুল একটি অবিস্বরণীয় স্পেল করেছিলেন। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজয়ের পর পাকিস্তানের উপর চাপ ছিল কিন্তু তারা ১৩ ওভারের মধ্যেই কিউইদের ৫ উইকেট তুলে নেয় মাত্র ৭৩ রানে। গুল তার জাদু দেখান এই ম্যাচে। তিনি ব্ল্যাক ক্যাপসের মিডল অর্ডারেকে এক কাঁপিয়ে দেন। তার তিন ওভারে মাত্র ছয় রান দিয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে নিয়ে টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাঁচ উইকেট নেওয়া প্রথম বোলার হন।
মাইক হাসি বনাম পাকিস্তান (২০১০)
২০১০ সালের টুর্নামেন্টের সবচেয়ে আইকনিক ব্যক্তিগত প্রদর্শন করেন মাইক হাসি। পাকিস্তানের সাথে তাদের সেমিফাইনাল খেলায় জয়ের জন্য ১৯২ রান তাড়া করে, সেন্ট লুসিয়ার ক্রিজে হাসি আসার আগে অস্ট্রেলিয়ার টুর্নামেন্টের অভিজান প্রায় শেষ হয়ে গেছিল। অস্ট্রেলিয়ার যখন ১০৫ রানে ৫ উইকেট পরে যায় তখন মাঠে নামেন হাসি। সেই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ৪৫ বলে ৮৭ রান। সেই অবস্থা থেকে ২৪ বলে ৬০ রান করে অস্ট্রেলিয়াকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন হাসি।
আরও পড়ুন: WT20: KL Rahul-Ishan Kishan ব্যাটে ভর করে ইংল্যান্ডকে হেলায় হারাল ভারত
অজন্তা মেন্ডিস বনাম জিম্বাবুয়ে (২০১২)
পেসার লাসিথ মালিঙ্গাকে আইসিসি টুর্নামেন্টের ইভেন্ট অ্যাম্বাসেডর হিসেবে বেছে নিয়েছিল এবং তিনি অবশ্যই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো প্রদর্শন করেছিলেন। মালিঙ্গা ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারে চার বলের মধ্যে তিন উইকেট নিয়ে তাদের শেষ করে ফেরার আগে এবং অবশেষে পাঁচ উইকেট নিয়ে খেলা শেষ করেন তিনি। তবুও মালিঙ্গার সতীর্থ অজন্তা মেন্ডিস টুর্নামেন্টের শুরুতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাদের গ্রুপের খেলায় আরও ভাল বোলিং করেন। চার ওভারের স্পেলে মাত্র আট রানে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। রহস্য স্পিনার দুটি এমন ওভার বোলিং করেছিলেন যেখানে তিনি বিপক্ষকে কোনও রান করার সুযোগ দেননি।
বিরাট কোহলি বনাম দক্ষিন আফ্রিকা (২০১৪)
২০১৪ সংস্করণের সর্বশ্রেষ্ঠ পারফরম্যান্স বিরাট কোহলি করেন, যিনি সর্বাধিক রান করে টুর্নামেন্টটি শেষ করেছিলেন। প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের সেমিফাইনালে ব্যাটিং মাস্টারক্লাস প্রদর্শন করেন ডেল স্টেইন এবং অন্য বোলারদের বিপক্ষে ১৭৩ রান তাড়া করে। কোহলি তার চারটি ইনিংসে তৃতীয় অর্ধশতক তুলে আনেন এবং ৪৪ রানে অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংসের মাধ্যমে ম্যাচ জেতেন পাঁচ বল বাকি থাকতে।
কার্লোস ব্র্যাথওয়েট বনাম ইংল্যান্ড (২০১৬)
২০১৬ সালের টুর্নামেন্ট চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের ফাইনালে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য এবং ইয়ান বিশপের আইকনিক 'remember the name'মন্তব্যটির জন্য। উইন্ডিজের শেষ ওভারে ১৯ রানের প্রয়োজন ছিল। বেন স্টকসের প্রথম চার বলে চারটি ছয় মারেন ব্র্যাথওয়েট। খেলার শেষে ব্র্যাথওয়েটের রান ছিল ১০ বলে ৩৪।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)