Bhaichung Bhutia, AIFF Election: 'নির্বাচনে উচ্চ পর্যায়ের রাজনীতি হয়েছে'! তোপ বাইচুংয়ের
'ফেডারেশনের নির্বাচন দেখে আমি চমকে গিয়েছি। আমি ভাবতেও পারিনি যে, নির্বাচনে এরকম উচ্চ পর্যায়ের রাজনীতি হবে। আমি ভেবেছিলাম যে, এটা ফুটবল সভাপতি হওয়ার নির্বাচন। আমি আন্তরিকতার সঙ্গে নিজের অবদান রাখতে চেয়েছিলাম।'
![Bhaichung Bhutia, AIFF Election: 'নির্বাচনে উচ্চ পর্যায়ের রাজনীতি হয়েছে'! তোপ বাইচুংয়ের Bhaichung Bhutia, AIFF Election: 'নির্বাচনে উচ্চ পর্যায়ের রাজনীতি হয়েছে'! তোপ বাইচুংয়ের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/09/03/388230-bhaichung-bhutia.png)
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রত্যাশামতোই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (All India Football Fedaration) সভাপতি (President) হয়েছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন গোলরক্ষক ও বিজেপি-র সক্রিয় নেতা কল্যাণ চৌবে (Kalyan Chaubey)। গত শুক্রবার ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচনে বাইচুং ভুটিয়াকে (Bhaichung Bhutia) ভোটাভুটিতে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন কল্যাণ। তিনি ৩৩-১ গোলে হারিয়েছেন বাইচুংকে। ভোটে হেরে ভারতের ফুটবল আইকন তোপ দাগলেন। তাঁর অভিযোগ, 'নির্বাচনে উচ্চ পর্যায়ের রাজনীতি হয়েছে'।
সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাইচুং বলেন, 'ফেডারেশনের নির্বাচন দেখে আমি চমকে গিয়েছি। আমি ভাবতেও পারিনি যে, নির্বাচনে এরকম উচ্চ পর্যায়ের রাজনীতি হবে। আমি ভেবেছিলাম যে, এটা ফুটবল সভাপতি হওয়ার নির্বাচন। আমি আন্তরিকতার সঙ্গে নিজের অবদান রাখতে চেয়েছিলাম। যদি ওরা নিজেরা জয়ের ব্যাপারে এতটাই আত্মবিশ্বাসী থাকত, তাহলে ক্ষমতাশালী এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কেন রাত ৯টার সময় হোটেলে (যেখানে সকল ভোটাররা এক সঙ্গে ছিলেন) এসে সকাল ২টো পর্যন্ত ছিলেন! কেন সবাইকে এক নির্দিষ্ট ফ্লোরে নিয়ে গিয়েছিলেন!'
বাইচুং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নাম নেননি ঠিকই, তবে রাজস্থান রাজ্য অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানবেন্দ্র সিং গতকাল অভিযোগ করেছিলেন যে, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু হোটেলে ছিলেন। তিনি ভোটারদের বলেছিলেন, তাঁরা যেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের বিরুদ্ধেই ভোট দেয়। বাইচুং আরও বলেন, '৩৪ জন ভোটদাতাদের মধ্যে ৩৩ জন (গোপালকৃষ্ণ কোসারাজু বাদ দিয়ে) সকলকে হোটেলের ফ্লোরে নিয়ে যান। বাকি ফ্লোরে যেতে দেওয়া হয়নি। আমি কোনও ভোটারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। নেটওয়ার্ক সমস্যা ছিল। আমি রাজস্থান অ্যাসোসিয়েশনের সচিবকে ফোন করার চেষ্টা করি। যিনি নিজে ভোটার। এবং আমি প্রেসিডেন্ট মানবেন্দ্র সিংকেও ফোনে ধরতে পারিনি। সভাপতি নির্বাচনে এরকম রাজনৈতিক অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ভারতীয় ফুটবলের জন্য খুবই খারাপ হয়েছে।'
আরও পড়ুন: AIFF Election : কল্যাণের সাফল্যের মুহূর্তে বাবা অঞ্জন মিত্রকে নিয়ে আবেগি সোহিনী
এআইএফএফ-এর ৮৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম প্রাক্তন কোনও ফুটবলার সভাপতি পদে বসলেন। শেষবার বাঙালি সভাপতি হয়েছিলেন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। কল্যাণ যে সভাপতির আসনে বসবেন সেটা জলের মতো পরিষ্কারই ছিল। যদিও শেষবেলায় মনোনয়ন জমা করে নির্বাচনের উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় ফুটবলের আইকন। কিন্তু লাভ হয়নি কোনও।