Rudi Koertzen Dies : গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেলেন প্রখ্যাত আম্পায়ার
২০০৩ ও ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে তৃতীয় আম্পায়ারের ভূমিকায় ছিলেন রুডি কোয়ের্তজেন। ২০১০ সালে পাকিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা করার পর অবসর নিয়েছিলেন তিনি। স্বভাবতই তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে যাওয়ার পর ক্রিকেট দুনিয়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বোলার কিংবা কিপার করলেই তিনি শরীরের পিছন থেকে বাঁহাতের তর্জনী বের করতেন। একেবারে স্লো মোশনে তাঁর আঙুল দেখানো ছিল ট্রেডমার্ক। এহেন রুডি কোয়ের্তজেন (Rudi Koertzen) থেমে গেলেন ৭৩ বছরে। গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেলেন এক সময় আইসিসি-র (ICC) এলিট প্যানেলে থাকা এই অভিজ্ঞ আম্পায়ার (Cricket Umpire)। মঙ্গলবার তাঁর বাড়ি কেপটাউন থেকে গলফ খেলতে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় রুডির গাড়ি দুর্ঘটনা কবলে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর ছেলে রুডি কোয়ের্তজেন জুনিয়র।
১৯৮১ সাল থেকে আম্পায়ারিং করলেও, আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁর অভিষেক ঘটেছিল ১৯৯২ সালে। সেই সফরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের তৃতীয় টেস্ট পরিচালনা করেছিলেন সদ্য প্রয়াত। তাও আবার ৪৩ বছর বয়সে আম্পায়ারিং করার সুযোগ পান তিনি। এরপর থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সব ফরম্যাটে মাঠে দাঁড়িয়ে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি।
Vale Rudi Koertzen ! Om Shanti. Condolences to his family.
Had a great relation with him. Whenever I used to play a rash shot, he used to scold me saying, “Play sensibly, I want to watch your batting”.
One he wanted to buy a particular brand of cricket pads for his son (cont) pic.twitter.com/CSxtjGmKE9
— Virender Sehwag (@virendersehwag) August 9, 2022
আরও পড়ুন: Asia Cup 2022 : কেন পন্থ, কার্তিককে একসঙ্গে প্রথম একাদশে দেখতে চান এই প্রাক্তন? জেনে নিন
আরও পড়ুন: CWG 2022: জার্সি উড়িয়ে সৌরভের লর্ডসের স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন লক্ষ্য
Really sad to hear about the passing away of former umpire Rudi Koertzen. He was one of the sharpest and finest umpires that we've seen. My deepest condolences to his family. RIP Rudi. pic.twitter.com/vxfZ3z4BcH
— VVS Laxman (@VVSLaxman281) August 9, 2022
২০০৩ ও ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে তৃতীয় আম্পায়ারের ভূমিকায় ছিলেন রুডি কোয়ের্তজেন। ২০১০ সালে পাকিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা করার পর অবসর নিয়েছিলেন তিনি। স্বভাবতই তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে যাওয়ার পর ক্রিকেট দুনিয়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কেরিয়ারে ১২৮টি টেস্ট, ২৫০টি একদিনের ম্যাচ ও ১৯টি টি-টোয়েন্টি পরিচালনা করেছিলেন তিনি। এছাড়া আইপিএল-এর ম্যাচেও তাঁকে দাপটের সঙ্গে আম্পায়ারিং করতে দেখা গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করার ক্ষেত্রে এখনও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন রুডি কোয়ের্তজেন। ১৯৯২ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ৩৩১টি ম্যাচ আম্পায়ারিং করেছিলেন তিনি। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন পাকিস্তানের আলিম দার। তিনি ২০০০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৪২০টি পরিচালনা করেছেন।