সৌরভ গাঙ্গুলি আইসিসি প্রেসিডেন্ট হলে তাঁর শাস্তি মুকুব হবে, আশায় পাকিস্তানের হিন্দু ক্রিকেটার

টেস্টে পাকিস্তানের অন্যতম সফল লেগ স্পিনার তিনি।

Updated By: Jun 7, 2020, 04:18 PM IST
সৌরভ গাঙ্গুলি আইসিসি প্রেসিডেন্ট হলে তাঁর শাস্তি মুকুব হবে, আশায় পাকিস্তানের হিন্দু ক্রিকেটার

নিজস্ব প্রতিবেদন- দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক গ্রেম স্মিথ কিছুদিন আগে বলেছিলেন, তিনি সৌরভ গাঙ্গুলিকে আইসিসি প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেখতে চান। এবার পাকিস্তানের এক প্রাক্তন ক্রিকেটারও একই কথা বলেছেন। সৌরভ গাঙ্গুলি আইসিসি প্রেসিডেন্ট হলে গ্রেম স্মিথের অবশ্য কোনও লাভ হত না। তিনি নেহাতই নিজের ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছিলেন। তবে এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার সৌরভকে আইসিসির পদে দেখতে চান নিজের স্বার্থেই। গত কয়েক মাস ধরেই খবরে রয়েছেন পাকিস্তানের হিন্দু ধর্মাবলম্বী ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়া। তিনি দাবি করেছিলেন, শুধুমাত্র হিন্দু বলেই তাঁকে পাকিস্তান ক্রিকেটে অনেক বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে। পাকিস্তানের তারকা পেসার শোয়েব আখতারও কয়েক মাস আগে কানেরিয়ার কথায় সমর্থন জানিয়েছিলেন। কানেরিয়ার এখন ৩৯ বছর বয়স। এখনও তিনি ক্রিকেটে ফেরার আশা করেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আবেদন করে লাভ হয়নি। আইসিসির এখনকার কর্তারাও তাঁর আবেদন কানে তোলেননি। তাই কানেরিয়া বলছেন, দাদা আইসিসি সভাপতি হলে তাঁর কথা শুনবেন। তাঁর শাস্তি মকুব হতে পারে।

ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকায় কানেরিয়াকে আজীবন নির্বাসনে পাঠিয়েছে পিসিবি। কানেরিয়া নিজের দোষ স্বীকার করেছেন। তা হলে ফিরতে চাইছেন কেন! তিনি বলেছেন, মহম্মদ আমির ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকা সত্ত্বেও তাঁকে মাঠে ফিরিয়েছে পিসিবি। তা হলে তাঁর বেলা দ্বিচারিতা করা হচ্ছে কেন! পিসিবি অবশ্য তাঁর কথায় কান দিচ্ছে না। আর তাই কানেরিয়া বলছেন, আমি আশা রাখি দাদা একদিন আইসিসি প্রেসিডেন্ট হবে। সেদিন আমি আবার ক্রিকেটে ফেরার আবেদন করব। আমার কথা দাদা শুনবে বলে আশা করি। আইসিসি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য সৌরভ যোগ্য ব্যক্তি। তিনি ভারতীয় ক্রিকেট দলকে এত সাফল্য এনে দিয়েছেন। বিসিসিআই-এর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দৃঢ়তার সঙ্গে। আইসিসির দায়িত্ব পেলেও দাদা ভালভাবেই দায়িত্ব সামলাতে পারবে। কিছুদিন আগেই কানেরিয়া জানিয়েছিলেন, তিনি ভারত ও বাংলাদেশে ক্রিকেট কোচিং করাতে চান। সুযোগ পেলে ধারাভাষ্য করতে চান বলেও জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন- কর্মী ছাঁটাইয়ের হিড়িক চারপাশে, হাজারো সংস্থার কাছে উদাহরণ হতে পারে বিসিসিআই-এর এই সিদ্ধান্ত

টেস্টে পাকিস্তানের অন্যতম সফল লেগ স্পিনার তিনি। পাকিস্তানের জার্সি গায়ে তিনি টেস্টে ২৬১টি উইকেট পেয়েছেন। এমন প্রতিভাবান স্পিনার দুর্নীতিতে জড়িয়ে নিজের কেরিয়ার শেষ করেছেন। টেস্টে উইকেটশিকারের নিরিখে তাঁর আগে রয়েছেন মাত্র তিনজন। ইমরান খান, ওয়াসিম আক্রম ও ওয়াকার ইউনিস। ২০১২ সালে এসেক্স-এর হয়ে খেলার সময় ম্যাচ ফিক্সিং করেন তিনি। পরে আবার নিজের দোষ স্বীকার করে নেন। কিন্তু পিসিবি তাঁকে আজীবনের নির্বাসনের শাস্তি দিয়েছে। কানেরিয়া জানিয়েছিলেন তাঁর আর্থিক অবস্থা খারাপ। তিনি বারবার পিসিবি ও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।

.