বেআইনিভাবে করোনা ওষুধ মজুত করছেন Goutam Gambhir, দিল্লি হাইকোর্টে গেল DGCI

 এই মামলায় দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট ড্রাগ কন্ট্রোলারেকে পরবর্তী ৬ সপ্তাহের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। ২৯ জুলাই পরবর্তী শুনানি।

Updated By: Jun 3, 2021, 05:24 PM IST
বেআইনিভাবে করোনা ওষুধ মজুত করছেন Goutam Gambhir, দিল্লি হাইকোর্টে গেল DGCI

 নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লি হাইকোর্টে দোষী সাবস্ত্য হওয়ার পর টুইটে সর্দার ভগত সিং-কে স্মরণ করেন গৌতম গম্ভীর। টুইট করে বলেন, আমি একজন মানুষ। মানবজাতির সমস্ত বিষয় নিয়ে আমি চিন্তিত। 

 

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের (CoronaVirus) ওষুধ দান করে বেকায়দায় পড়েছেন গৌতম গম্ভীর (Goutam Gambhir)। মহামারির সময় কী করে গৌতম গম্ভীরের (Goutam Gambhir)সংস্থা এত ওষুধ মজুত রাখতে পারে, তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। সেই অভিযোগের জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আজ (বৃহস্পতিবার) দিল্লি হাইকোর্টে ড্রাগস কন্ট্রোলারের তরফে জানানো হয়, বেইনিভাবে ফ্যাবিফ্লু কিনে মজুত রেখেছে পূর্ব দিল্লির বিজেপি সাংসদের প্রতিষ্ঠান (গৌতম গম্ভীর ফাউন্ডেশন)। কার্যত, সেই কারণে গৌতম গম্ভীর ফাউন্ডেশনের (Goutam Gambhir Foundation)বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান হয় ড্রাগ কন্ট্রোল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) তরফে। এমনকি, এই কারচুপি থেকে মুক্তি পাবেন না ডিলররাও।

জনসেবা মূলক কাজের জন্য বরাবরই খবরের শিরোনামে থাকেন গৌতম গম্ভীর (Goutam Gambhir)। মহামারি চলাকালীন, নানা ভাবে তাঁকে দেখা গিয়েছে মানুষের পাশে দাঁড়াতে। সেরকম ভাবেই করোনার (Corona) ওষুধ গরিব মানুষের মধ্যে বিলিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন সাংসদ। কিন্তু, এই কর্মসূচিতে তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করা ও বেআইনি ওষুধ মজুত রাখার অভিযোগ ওঠে।  

বৃহস্পতিবার আদালতে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়, তাতে ডিসিজিআই-এর তরফে জানান হয়, সংস্থা গৌতম গম্ভীর ফাউন্ডেশনের (Goutam Gambhir Foundation) কোনও লাইসেন্স নেই।  ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স অ্যাক্ট ১৯৪০-কে অমান্য করেছেন গৌতম গম্ভীর। বাজারে ফ্যাবিফ্লুর আকাল তৈরি হওয়ার জন্য গৌতম গম্ভীরকে দায়ি করা হয়েছে। কড়া ভাষায় বিচারপতি বিপিন সংঘি বলেন, ''পরবর্তী নির্বাচনের জন্য স্রেফ নিজের জনপ্রিয়তা তৈরি করতে এই কাজ করেছেন তিনি''।   যা ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭ বি ৩ এবং ২৭ ডি ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু, এই মামলায় দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট ড্রাগ কন্ট্রোলারেকে পরবর্তী ৬ সপ্তাহের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। ২৯ জুলাই পরবর্তী শুনানি।  

.