কে জিতবেন ফিফার বর্ষসেরার খেতাব

অপেক্ষা আর কয়েক ঘণ্টার।  বিশ্বে বছরের সেরা ফুটবলার কে হবেন তার জন্য অধীর আগ্রহে তাকিয়ে বিশ্ব। বিশ্বসেরার লড়াইয়ে আছেন তিনজন। লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো নাকি আন্দ্রে ইনিয়েস্তা কে হবেন ফিফা ব্যালন ডি` ওর? ফুটবল বিশ্ব কিন্তু পুরোপুরি তিনভাগ। বিশেষজ্ঞ থেকে সমর্থকরাও তিনভাগ। একবার দেখে নিই কে কোন জায়গায় কে এগিয়ে বা পিছিয়ে--

Updated By: Jan 7, 2013, 09:57 PM IST

পার্থ প্রতিম চন্দ্র
অপেক্ষা আর কয়েক ঘণ্টার। ফুটবলবিশ্ব উত্তাল। বিশ্বে বছরের সেরা ফুটবলার কে হবেন তার জন্য অধীর আগ্রহে তাকিয়ে বিশ্ব। বিশ্বসেরার লড়াইয়ে আছেন তিনজন। লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো নাকি আন্দ্রে ইনিয়েস্তা কে হবেন ফিফা ব্যালন ডি` ওর? ফুটবল বিশ্ব কিন্তু পুরোপুরি তিনভাগ। বিশেষজ্ঞ থেকে সমর্থকরাও তিনভাগ। একবার দেখে নিই কে কোন জায়গায় কে এগিয়ে বা পিছিয়ে--
মেসি-- টানা তিনবার বিশ্বের বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। এবার এই আর্জেন্টিনার ফুটবলারের লক্ষ্য টানা চারবার এই পুরস্কার জেতা।
প্লাস পয়েন্ট-- এ বছর ক্লাব ও দেশের হয়ে মেসি ৯১টা গোল করেছেন। যা রেকর্ড। বার্সেলোনার হয়ে অনবদ্য কিছু গোল করছেন। শিল্প আর গোলক্ষুধাটাও দারুণভাবে দেখিয়েছেন। দেশের হয়ে এ মরসুমে করেছেন ১১ টা গোল। সুতরাং মেসি শুধু ক্লাবে সফল এ ধারণাটাও বদলেছে।
মাইনাস পয়েন্ট--
ইনিয়েস্তার সাফল্যের কাছে কিছুটা ম্রিয়মান। রোনাল্ডোর মত দেশের হয়ে এ বছর দারুণ কিছু করতে পারেননি। তিনবার জিতে ফেলেছেন এবার তাই মেসিকে নিয়ে আবেগের আবহটাও কিছুটা কম।
কারা গলা ফাটালেন-- গার্ড মুলার, আর্সেন ওয়েঙ্গার, পেপ গুয়ার্দিওলা, সার্জিও আগুয়েরো, জালটন ইব্রাহিমোভিচ


ইনিয়েস্তা--
২০১০ সালে ফিফার বর্ষসেরার ভোটিংয়ে অনেক ভোট পেয়েও মেসির কাছে হেরে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। এবার কিন্তু ইনিয়েস্তা প্রথম স্থানের জন্য বেশ বড় দাবিদার।
প্লাস পয়েন্ট--
সব বড় ট্রফি জিতে ফেলেছেন। স্পেনকে ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়ন করেছেন, ইউরো কাপে প্রতিযোগিতার সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন। ইনিয়েস্তার সব পজিশনে খেলতে পারেন। অ্যাটক, ডিফেন্স, বল ধরে খেলার গতি স্লথ করে দেওয়া সব কিছুই ইনিয়েস্তা করতে পারেন। টোটাল ফুটবলার হিসাবে সবাই এক ডাকে তাঁর নামই বলবে। মেসির গোলের পিছনের কারিগর তিনিই।
মাইনাস পয়েন্ট--
যেহেতু বিভিন্ন দেশের অধিনায়ক ও কোচেদের ভোটিংয়ের উপর এই ট্রফি দেওয়া হবে তাই প্রচার একটা বড় বিষয়ে। মেসি, রোনাল্ডোর চেয়ে অনেকগুণ পিছিয়ে থাকেন ইনিয়েস্তা। এটা একটা বড় বিষয়।
কারা তাঁর হয়ে গলা ফাটালেন-- জিদান, ভিনসেন্ট ডেল বসকি, রাফায়েল নাদাল, বরিস বেকার।


ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো--
গতবার মেসির কাছে হেরে গিয়েছিলেন অনেক ব্যবধানে। ২০০৮-এর বর্ষসেরা রোনাল্ডোর কাছে এবারের লড়াইটা প্রতিশোধের। আসলে রোনাল্ডো প্রকাশ্যেই বলেছেন, মেসির কাছে হারতে ঘৃণা করেন। সেটা মাঠের লড়াইয়েই হোক বা পুরস্কার মঞ্চে।

প্লাস পয়েন্ট--
রিয়াল মাদ্রিদের খারাপ পারফরম্যান্সের মাঝে একা লড়ে গেছেন। বেশ কিছু অসাধারণ গোল করেছেন। প্রায় একা হাতেই বার্সেলোনাকে হারিয়েছিলেন। তার ওপর আবার ২০১২ ইউরো কাপে অসাধারণ ফুটবল উপহার দিয়েছিলেন। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে অসাধারণ জয় এনে দিয়েছিলেন। যদিও ইউরো কাপে পর্তুগাল বিশেষ কিছু করতে পারেনি।

মাইনাস পয়েন্ট--
রিয়াল মাদ্রিদ বা পর্তুগালের হয়ে কোন বড় ট্রফিই জেতেননি। যে দুটো দলের হয়ে খেলেছেন আদপে তারা ব্যর্থ। জেনুইন স্ট্রাইকার হয়ে গোলসংখ্যার বিচারে মেসির চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে। রোনাল্ডো করেছেন মাত্র ৩০ টি গোল।
কারা তাঁর হয়ে গলা ফাটালেন--লুই ফিলিপ স্কোলারি, ক্লিন্সম্যান।

.