১১০ কোটির দেশের হৃদয় ভেঙে বিশ্বকাপ ফাইনালে কিউয়িদের মুখোমুখি অসিরা

হল না স্বপ্ন পূরণ। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমি ফাইনালে অসিদের কাছে ৯৫ রানে ধোনিদের পরাজয় হতাশ করল ১১০ কোটির দেশকে। সিডনিতে গত বারের চ্যাম্পিয়নকে এক কথায় উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে চিরশত্রু নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি ক্লার্ক বাহিনী।

Updated By: Mar 26, 2015, 06:18 PM IST
১১০ কোটির দেশের হৃদয় ভেঙে বিশ্বকাপ ফাইনালে কিউয়িদের মুখোমুখি অসিরা

ওয়েব ডেস্ক: হল না স্বপ্ন পূরণ। তৈরি হল না ইতিহাস। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমি ফাইনালে অসিদের কাছে ৯৫ রানে ধোনিদের পরাজয় হতাশ করল ১১০ কোটির দেশকে। সিডনিতে গত বারের চ্যাম্পিয়নকে এক কথায় উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে চিরশত্রু নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি ক্লার্ক বাহিনী।

প্রথম ব্যাট করতে নেমে হব না, হব না করেও বড় রানের ইনিংস গড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সৌজন্যে স্টিভ স্মিথের ধ্রুপদী ১০৫। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট খুইয়ে ভারতের জন্য ৩২৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা খাড়া করেছিলেন অসিরা।  সিডনির পিচে ৩২৯ রান তোলাটা অসম্ভব না হলেও কাজটা যে খুব কঠিন ছিল সেটা বলাই বাহুল্য। কিন্তু, দলের ব্যাটিং লাইন আপে পৃথিবীর তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যানদের নাম থাকলেও মেন ইন ব্লু যে ৪৬.৫ ওভারে মাত্র ২৩৩ রানেই গুটিয়ে যাবে, তা বোধহয় দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি যোগরাজ সিংও। 

  শুরুটা ধুঁয়াধার করেছিলেন শিখর ধাওয়ান। শিখরের ব্যাটের দাপটে ঠিক যখন আরও একবার বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার স্বপ্নটা জমাট বাঁধছে, ঠিক তখনই স্বপ্নভঙ্গের সিলসিলা শুরু।  

৪৫ রানে শিখর ফিরে যাওয়ার পর দ্রুত প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আর এক ওপেনার রোহিত শর্মা। তাঁর অবদান ৩৪ রান। দলের অন্যতম দুই সেরা বিরাট কোহলি ও সুরেশ রায়নার পিচে এসে ছিলেন প্রায় মুখ দেখাতেই। কিছুটা লড়াই করে ছিলেন আজিঙ্কা রাহানে।  তাঁর সংগ্রহে ৪৪ রান। তবে দল যখন তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়েছে তখন এক কুম্ভ রক্ষা করার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন ক্যাপ্টেন কুল। এক দিকে তিনি যখন ২২গজে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছেন, উল্টো দিকে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের শুধু 'আসা যাওয়ার পালা।' আজ ভারত হেরে গেলেও ক্রিকেট প্রেমীদের মনে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে মাহির ৬৫ বলে ৬৫ রানের ইনিংস।  

আজ ব্যাটসম্যানদের মতই প্রয়োজনের সময় হতাশ করলেন ভারতীয় বোলাররাও। শেষ বেলায় তাঁদের পিটিয়ে ছাতু করেন মিচেল জনসন।

সিডনির প্রথম ইনিংস দেখাল স্টিভ স্মিথের দুরন্ত ব্যাটিং, উমেশ-সামি-অশ্বিনদের লড়াই, ভারতীয় ফিল্ডারদের না হারা মনোভাব। ডেভিড ওয়ার্নারকে অল্পতে ফিরিয়ে যে দারুণভাবে শুরু করেছিল ভারত, ফিঞ্চ-স্মিথ জুটি তাতে পুরো জল ঢেলে দেয়।  চাপের মুখে নি:শব্দে শতরান করে গেলেন স্মিথ।

দ্বিতীয় উইকেটে ফিঞ্চ-স্মিথ জুটি যোগ করেন ১৮২ রান। ফিঞ্চ ফিরে যাওয়ার পর ম্যাচে ফিরে এসেছিল ভারত। কিন্তু শেষবেলায় মিচেল জনসনের ৯ বলে ২৭ রানের ইনিংসটা অসিদের রানটা বেশ ভাল থেকে খুব ভাল দিয়ে নিয়ে যায়। উমেশ যাদব ৪ উইকেট নিলেও বিনিময়ে দেম  খরচ করলেন ৭২ রান। মোহিতও দু উইকেট নিয়ে দিলেন ৭৫ রান। ভাল বল করলেও সামি উইকেট পেলেন না। তবে দলের সেরা বোলার অশ্বিন (১/৪২)।

অসিদের মধ্যে সেরা বোলার জেমস ফকনার। তাঁর ঝুলিতে ৩ উইকেট । ২টি উইকেট পেয়েছেন মাইকেল স্টার্ক।

আচ্ছা, আজ কি যুবরাজ সিং নামের এক ব্যাটসম্যানের কথা মনে পড়ছে ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্কের?

.