ISL 2021: Jamshedpur FC-র বিরুদ্ধে Tiri-কে রেখে দল সাজাচ্ছেন Antonio Lopez Habas!
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে লজ্জাজনক হার ভুলতে চাইছেন হাবাস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: চলতি আইএসএল-এ (ISL 2021) মুম্বই সিটি এফসি-র কাছে ১-৫ হারের পর এতটাই হতাশ ও বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে সাংবাদিক বৈঠকেও আসতে চাননি। তাই সে দিনের হার নিয়ে এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) কোচের ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে রবিবার একাধিক প্রশ্ন ছুড়ে এসেছে জামশেদপুর এফসি-র (Jamshedpur FC) বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে। তাই আগামী ম্যাচ নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর ছাড়াও আন্তোনিও লোপেজ হাবাস (Antonio Lopez Habas) গত ম্যাচের বড় ব্যবধানে হার নিয়ে নানা প্রশ্নও সুকৌশলে সামলান। কী বললেন তিনি? জেনে নেওয়া যাক।
প্রশ্ন: জামশেদপুরের খেলা আপনি দেখেছেন। গতবারের তুলনায় কী কী পরিবর্তন এসেছে ওদের দলে?
হাবাস: ওদের কোচ খুব ভাল। খুব সিরিয়াস। ওকে এবং ওর দলটাকে শ্রদ্ধা করি। ম্যাচটায় ভাল লড়াই হবে। সমানে সমানে লড়াই হবে।
প্রশ্ন: তিরির চোট নিয়ে কোনও খবর আছে?
হাবাস: তিরি সুস্থ রয়েছে। ও মাঠে নামার অবস্থায় রয়েছে। ২০ জনের দলে ওকে রাখা হবে। দেখা যাক খেলাতে পারি কি না।
প্রশ্ন: জামশেদপুর এফসি-র সবচেয়ে বিপজ্জনক ফুটবলার কে?
হাবাস: বিপক্ষের কোনও বিশেষ ফুটবলারকে নিয়ে কথা বলতে চাই না। নেউরাস ভাল্সকিস আগের চেয়ে অনেক উন্নতি করেছে। ওদের ভাল সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারও আছে। ভাল মানের ভারতীয় ফুটবলারও রয়েছে ওদের দলে। প্রতিপক্ষ হিসেবে ওরা বেশ কঠিন। লড়াকু দল।
প্রশ্ন: ওদের সবচেয়ে বড় শক্তি কী বলে মনে করেন?
হাবাস: ওদের রক্ষণ ও আক্রমণ দুটোই ভাল। এটাই ওদের শক্তি।
প্রশ্ন: মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে ১-৫-এ হারার কারণ কী?
হাবাস: ওই ম্যাচটা আমার কাছে অতীত। আর এই ব্যাপারে আমি কোনও অজুহাতও দিতে চাই না। হেরে অজুহাত দেওয়ার অভ্যাসটা মোটেই ভাল নয়। আমার মনে হয় মুম্বই ওই ম্যাচে আমাদের চেয়ে ভাল খেলেছে। রেফারিও সে দিন আমাদের যথেষ্ট হেনস্থা করেছেন।
আরও পড়ুন: কীভাবে Rahul Dravid-কে রাজি করিয়েছিলেন? খোলসা করলেন BCCI সভাপতি Sourav Ganguly
প্রশ্ন: যতদিন কোচিং করাচ্ছেন, এ রকম পরিস্থিতি কমই এসেছে। এই ব্যর্থতা ব্যাক্তিগত ভাবে কতটা প্রভাব ফেলেছে আপনার ওপর?
হাবাস: অনেকগুলো মরসুমই হয়ে গেল আমি কলকাতার দলে কোচিং করাচ্ছি। অনেক দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। হঠাৎ করে এ রকম একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতেই পারে। যদি ম্যাচটা বিশ্লেষণ করে দেখেন, তা হলে দেখবেন ফুটবলে এমন অনেক হয়েছে। শুরুতেই আমরা গোল খাই। দ্বিতীয় গোলটা হাত দিয়ে করে, যেটা রেফারি দেখেননি। তৃতীয় গোলটার আগে ফাউল হয়। রেফারি দীপক টাঙরিকে লাল কার্ড দেখান, কিন্তু ওদের মুর্তাদা ফলকে কার্ড দেখালেন না। চতুর্থ গোল হয় অফসাইডে। এ রকম আরও মুহূর্ত এসেছে ম্যাচে। আমরা ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোরও সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু স্বীকার করতেই হবে যে, সে দিন মুম্বই আমাদের চেয়ে ভাল খেলেছে। তবে রেফারি সে দিন অত ভুল না করলে এই ব্যবধানে ওরা জিততে পারত না বোধহয়।
প্রশ্ন: গত ম্যাচের খারাপ অভিজ্ঞতা ভুলে সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচে নামতে চান?
হাবাস: আমাদের দর্শন হচ্ছে প্রতি ম্যাচ ধরে ধরে খেলা। প্রতি ধাপে ধাপে এগোতে হবে আমাদের। একটা ম্যাচ হয়ে গেলে আর সেই ম্যাচটা নিয়ে ভাবি না। তিন-চার দিন অন্তর প্রতিটা ম্যাচ খেলতে হলে বেশি ভাবার সময় পাওয়া যায় না।
প্রশ্ন: তিন ডিফেন্ডার নিয়ে তো আপনারা আগেও ম্যাচ জিতেছেন। তা হলে কেন মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে চার ডিফেন্ডারে খেললেন?
হাবাস: বিপক্ষের শক্তি ও কৌশল অনুযায়ী ঠিক করতে হয় তিন, চার না পাঁচ ডিফেন্ডারে খেলব। গত ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা চার ডিফেন্ডারে খেলেছিলাম। অনুশীলনেও আমরা চার ডিফেন্ডারে খেলার অভ্যাস করেছি।
প্রশ্ন: গত ম্যাচে রয় কৃষ্ণা, হুগো বুমৌসদের খুব অনুজ্জ্বল দেখিয়েছে। সেই জন্যই কি রক্ষণের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে যায়?
হাবাস: ব্যক্তিগত ভাবে একজন বা দু’জন ফুটবলারের জন্য গোটা দলের লাভ বা ক্ষতি কিছুই হয় না। এই রকম পরিস্থিতিতে একশো শতাংশ দেওয়াটাও কঠিন। দিলেও যদি তাদের সতীর্থরা ভাল না খেলে, তাতে দলের কোনও লাভ হয় না। অন্যদেরও দ্রুত উন্নতি করতে হবে।