ISL 2022-23, ATKMB vs HFC: ছন্নছাড়া ফুটবল খেলেও বিশালের জন্য হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে অ্যাডভান্টেজে এটিকে মোহনবাগান
গোলকিপার বিশাল কাইথ ঢাল হয়ে না দাঁড়ালে বড় ব্যবধানে হারতে পারত সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। বিশাল তিন বার দলের নিশ্চিত পতন রোধ করলেন। যদিও গোল করার নিশ্চিত সুযোগ বৃহস্পতিবারের ম্যাচে প্রথম পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগানই।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বদলার ম্যাচে মরিয়া মনোভাব উধাও। বদলে দেখা গেল এটিকে মোহনবাগান যেন বড় বেশি ছন্নছাড়া। প্রীতম কোটাল-মনবীর সিং দেখে মনে হয়নি, কোনও প্ল্যান-এ, বি, সি, ডি রয়েছে। একেবারে ছন্নছাড়া ফুটবল। হুগো, পেত্রাতোসদের তো খুঁজেই পাওয়া গেল না। ফলে চলতি আইএসএল-এর এটিকে মোহনবাগান ও হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে প্রথম লেগের দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল গোলশূন্য ভাবে ড্র হল। তবে এই ম্যাচ ড্র হওয়ার জন্য দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে অ্যাডভান্টেজে থাকবে সবুজ-মেরুন। ১৩ মার্চ ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে নামবে দুই দল।
গোলকিপার বিশাল কাইথ ঢাল হয়ে না দাঁড়ালে বড় ব্যবধানে হারতে পারত সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। বিশাল তিন বার দলের নিশ্চিত পতন রোধ করলেন। যদিও গোল করার নিশ্চিত সুযোগ বৃহস্পতিবারের ম্যাচে প্রথম পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগানই। প্রথমার্ধের ৩৮ মিনিটে দিমিত্রি পেত্রাতোসের ফ্রিকিক থেকে হায়দরাবাদ বক্সের মধ্যে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন প্রীতম কোটালরা। ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ব্যর্থ হন বোর্হা হেরেরা। তাঁর শট গিয়ে লাগে বারে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে হায়দরাবাদের একটি শট অল্পের জন্য বাইরে বেরিয়ে যায়। শটটি গোলের মধ্যে থাকলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারত তারা। এর আগে ১১ মিনিটে হায়দরাবাদের জোয়েল চাইনিজের হেড অনবদ্য দক্ষতায় রুখে দেন বিশাল।
আরও পড়ুন: Lionel Messi, Champions League 2023: খেলার মাঠেই প্রাণে বাঁচলেন মেসি! ভিডিয়ো হল ভাইরাল
আরও পড়ুন: UEFA Champions League 2023: টিমগেমের উপর ভর করে মেসির দলকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে দিল বায়ার্ন
হায়দরাবাদ বরং অনেক গুছিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী ফুটবল খেলছে। আক্রমণে বাগানের রক্ষণের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছে। কোনও চাপ ছাড়াই অনায়াস উইং দিয়ে আক্রমণে উঠছে হায়দরাবাদ। ফলে একাধিকবার গোলের সুযোগও তৈরি করেছিল নিজামের শহরের এই দল। তবে শুধু হায়দরাবাদ নয়, কয়েকবার সবুজ-মেরুনও গোলের লক্ষ্যে বল বাড়ায়। তবে এতে লাভ হয়নি।
৩৭ মিনিটে দিমিত্রি পেত্রাতোস ফ্রি-কিক থেকে প্লেটে সাজিয়ে বল বাড়িয়েছিল। বলটি সুন্দর ভাবে নামানো হলেও মিস করেন প্রীতম। সহজতম সুযোগ নষ্ট করে সবুজ-মেরুন। এর আগে অবশ্য গোল হজম করতেই পারত এটিকে মোহনবাগান। গোলকিপার বিশাল কাইথ রুখে না দাঁড়ালে অনেক আগেই লিড নিতে পারত হায়দরাবাদ।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫ মিনিটে ইয়াসির প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন। পোস্টে লেগে বল ফিরে আসে। সেই গোলটা হলে বাগান আরও চাপে পড়ত। এমনিতেই তারা দ্বিতীয়ার্ধে চাপ নিজেদের ঘাড়ে নিয়ে রেখেছিল। এর উপর হায়দরাবাদ আক্রমণের ঝাঁজ দ্বিতীয়ার্ধেও বজায় রাখায়, চার গুণ বেড়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে মনবীর প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন। হায়দরাবাদের গোলকিপার গুরমীত সিং চাহালকে সামনে পেয়ে মনবীর তাঁর শরীরে মারেন। গোলের সোনার সুযোগ নষ্ট করেন মনবীর। হায়দরাবাদও অবশ্য গোল করার মতো সুযোগ পেয়েছিল। রেফারির শেষ বাঁশির কিছু আগে পেত্রাতোস দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন হায়দরাবাদের গোল লক্ষ্য করে। গোলটি হয়ে গেলে দুরন্ত শেষ হত। কিন্তু কাঙ্খিত গোলটাই এল না। এদিনের ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হওয়ায় যুবভারতীর ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল। তবে শেষ পর্যন্ত কোনও দলই গোলের মুখ খুলতে পারেনি। ফলে প্রথম লেগের সেমি ফাইনাল গোলশূন্য ভাবে শেষ হল। তবে শেষ পর্যন্ত কোনও দলই গোলের মুখ খুলতে পারেনি। ফলে প্রথম লেগের সেমি ফাইনাল গোলশূন্য ভাবে শেষ হল।