দেড় মাসের মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি, রাতভর জেগে মাঠে নেমেই সেঞ্চুরি ইংলিশ তারকার

সারা রাত হাসপাতালে না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেন। সঙ্গে মেয়ের জন্য প্রবল উত্কন্ঠা।

নিজস্ব প্রতিবেদন : সাত সপ্তাহ আগে তাঁর কন্যাসন্তান পৃথিবীর আলো দেখেছিল। নাম রেখেছিলেন ইভারলি। সেই ইভারলি বৃহস্পতিবার রাতে প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিস্থিতির হাতের বাইরে চলে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা করে ইভারলিকে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটার জেসন রয় ও তাঁর স্ত্রী। তার পর শুরু হয় টেনশন-এর সঙ্গে যুদ্ধ। সারা রাত হাসপাতালে না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেন জেসন। সঙ্গে মেয়ের জন্য প্রবল উত্কন্ঠা। এদিকে সকালে আবার ম্যাচ! পাড়ার ক্রিকেট তো নয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজের চতুর্থ একদিনের ম্যাচ।

রাতভর ঘুম নেই। সকালে মেয়ে ইভারলির অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ায় বাবা জেসন সরাসরি চলে আসেন টিম হোটেলে। দলের সঙ্গে যোগ দেন। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েই নেমে পড়েন মাঠে। ইংল্যান্ডের ওপেনার জেসন এদিন দুরন্ত সেঞ্চুরি করেন। তাঁর দাপুটে ব্যাটিংয়েই পাকিস্তানের ৩৪০ রান তাড়া করে ম্যাচ জেতে ইংল্যান্ড। জেসন রয়ের জন্য ইংলিশ ড্রেসিংরুমে এখন আলাদা রকমের সম্মান। দায়িত্বশীল বাবা ও কর্তব্যপরায়ণ ক্রিকেটার! দুই ভূমিকাতেই একশোয় একশো নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হলেন জেসন রয়। এদিন অবশ্য দুরন্ত ইনিংস খেলেন বেন স্টোকসও।

স্লো-ওভার রেটের কারণে নির্বাসনে রয়েছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়ন মরগান। তাই এদিন ওপেনার হিসাবে অন্য কাউকে দায়িত্ব নিতেই হত। সেই দায়িত্বটা নিলেন জেসন। ৮৯ বলে রয়ের ১১৪ রানের ইনিংস প্রশংসা কুড়োল। কেরিয়ারের আট নম্বর সেঞ্চুরি করে ফেললেন তিনি। সিরিজের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-০-তে জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড। ম্যাচ ও সিরিজ জয়ের পর জেসন বলে গেলেন, ''সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত হাসপাতালেই থাকতে হয়েছে। সেখান থেকে ফিরে বিশ্রামের তেমন সময় পাইনি। কিছুক্ষণ অনুশীলন করেছি মাত্র। এই সেঞ্চুরিটার সঙ্গে আবেগ জড়িয়ে রয়েছে।''