Emiliano Martinez vs Kylian Mbappe: ভিকট্রি প্যারেডে মার্টিনেজের হাতে নিজের ছোট্ট পুতুল, কড়া জবাব দিলেন এমবাপে
বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর ফের শুরু হয়েছে লিগ ওয়ান। বুধবার রাতে ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে স্ত্রাসবুর্গকে ২-১ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। লিওনেল মেসি না থাকলেও খেলেছেন ব্রাজিলীয় তারকা নেইমার ও এমবাপে। তবে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে নেইমারকে।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আর্জেন্টিনা (Argentina) বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022) জিতেছে ১০ দিন হয়ে গিয়েছে। ৩৬ বছর পর আলবিসেলেস্তেদের শিরোপা এনে দেওয়ার অন্যতম বড় কারিগর গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (Emiliano Martinez)। ফাইনাল শেষ হওয়ার পর ড্রেসিংরুমে ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপের (Kylian Mbappe) কথা স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন, এরপর এমবাপের মুখের পুতুল হাতে বুয়েনোস আইরেসে দেখা যায় তাঁকে। ভিকট্রি প্যারেডে সমালোচনার শিকার হয়েছেন বিশ্বকাপে 'গোল্ডেন' গ্লাভজয়ী এই তারকা।
স্ত্রাসবুর্গের (Strasbourg) বিরুদ্ধে ২-১ ব্যবধানে প্যারিস সঁ জরমঁ-এর (Paris Saint Germain) জয়ের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন এমবাপে। সেখানে তাঁকে মার্টিনেজের কান্ড নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেটা শুনে এমবাপে বলেন, 'মার্টিনেজের উদযাপন নিয়ে আমার কোনও সমস্যা নেই। এসব নিরর্থক বিষয়ে কথা বলে সময় নষ্ট করতে চাই না। এই মুহূর্তে ক্লাবের জন্য নিজের সেরা পারফরম্যান্স করতে চাই। সেটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।'
বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর ফের শুরু হয়েছে লিগ ওয়ান। বুধবার রাতে ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে স্ত্রাসবুর্গকে ২-১ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। লিওনেল মেসি না থাকলেও খেলেছেন ব্রাজিলীয় তারকা নেইমার ও এমবাপে। তবে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে নেইমারকে। ৯০ মিনিট পর্যন্ত ১-১ এ সমতা বিরাজ করছিল ম্যাচে। তবে ৯৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে পিএসজির ২-১ গোলের জয় নিশ্চিত করেন ফ্রান্সের তারকা। এরপর ম্যাচের শেষে মার্টিনেজের উদযাপন নিয়েও কথা বলেছেন এমবাপে। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মার্টিনেজের উদযাপন নিয়ে তাঁর কোনও সমস্যা নেই।
আরও পড়ুন: Neymar: ফের 'প্লে অ্যাক্টিং' করে লাল কার্ড দেখলেন নেইমার, ভিডিয়ো ভাইরাল
আরও পড়ুন: Pele Health Update: কেমন আছেন পেলে? উদ্বেগ বাড়ালেন কিংবদন্তির কন্যা
এর আগে বুয়েনোস আইরেসের রাস্তায় হুড খোলা বাসে চেপে আর্জেন্টিনা ট্রফি নিয়ে ভিকট্রি প্যারেড করেছিল। টিম বাসের মধ্যেই ছিলেন এমবাপে! সৌজন্যে মার্টিনেজ। মার্টিনেজ যেন এমবাপের পিছুই ছাড়তে চাইছিলেন না। ওই সেলিব্রেশনের মাঝেই তিনি একটি ছোট্ট পুতুল জোগাড় করে নিয়েছিলেন। সেই পুতুলের মুখে এমবাপের মুখের মুখোশ পরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তবে এমবাপে-মার্টিনেজ দ্বৈরথ শুরু হয়েছিল ফাইনালের আগে থেকেই।
ফাইনালে নামার আগে এমবাপে বলেছিলেন, 'ইউরোপে আমরা অ্যাডভান্টেজ পাই। এখানে সবসময় উচ্চ পর্যায়ের ম্যাচ খেলা হয়। যেমন উদাহরণ হিসাবে বলতে পারি ন্যাশনস লিগ। যখন আমরা বিশ্বকাপ খেলতে নামি, তখন আমরা তৈরি থাকি। দেখতে গেলে দক্ষিণ আমেরিকায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা এই পর্যায়ে খেলে না। ওখানকার ফুটবল ইউরোপের মতো এগিয়ে নেই। সে জন্যই বিগত বিশ্বকাপগুলি ইউরোপের দলগুলোই জিতছে।'
মেগা ফাইনালের আগে সাংবাদিক বৈঠকে এমি পাল্টা দিয়ে বলেছিলেন, 'এমপবাপে ফুটবলের ব্যাপারে বেশি কিছু জানে না। ও জীবনে দক্ষিণ আমেরিকায় খেলেনি। ওর যখন খেলার অভিজ্ঞতাই নেই, তখন ওর মুখ বন্ধ রাখাই ভালো। কিন্তু ওর কথায় কিছু যায় আসে না। আমরা দারুণ দল। এভাবেই পরিচিতি পেয়েছি।' যদিও ম্যাচের পর এমবাপেকে সান্ত্বনা জানাতে ছুটে এসেছিলেন মার্টিনেজ। তাঁকে আদরে ভরিয়ে দেন আর্জেন্টিনার গোলকিপার। টেনে তোলেন। কিন্তু তাই বলে দু'জনের শীতল সম্পর্ক এখনও বজায় রয়েছে।