মুখ্যমন্ত্রী কথা রাখেননি, গলায় মেডেল ঝুলিয়ে রাস্তায় ভিক্ষে করছেন জাতীয় স্তরে পদক জয়ী অ্যাথলিট

জাতীয় স্তরে সাফল্যের পর প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে গিয়েছিল। এমনকি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও। সেসব হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছে। এখন রাস্তায় ভিক্ষে করছেন মধ্যপ্রদেশের প্যারা অ্যাথলিট মনমোহন সিং লোধি।

Updated By: Sep 3, 2018, 09:49 AM IST
মুখ্যমন্ত্রী কথা রাখেননি, গলায় মেডেল ঝুলিয়ে রাস্তায় ভিক্ষে করছেন জাতীয় স্তরে পদক জয়ী অ্যাথলিট

নিজস্ব প্রতিবেদন: জাতীয় স্তরে সাফল্যের পর প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে গিয়েছিল। এমনকি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও। সেসব হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছে। এখন রাস্তায় ভিক্ষে করছেন মধ্যপ্রদেশের প্যারা অ্যাথলিট মনমোহন সিং লোধি।

আরও পড়ুন-EBvsMB: টানটান খেলা হলেও অমীমাংসিত রইল বছরের প্রথম কলকাতা ডার্বি 

মধ্যপ্রদেশের নরসিংহপুরের এই প্যারা অ্যাথলিট মনমোহন জাতীয় স্তরে দৌড়ে একাধিক মেডেল জিতেছেন। অভাবের তাড়নায় এখন রাস্তায় নেমে এসেছেন। মনমোহন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘জাতীয় স্তরে ‌যখন পদক জিতেছিলাম তখন সরকারের পক্ষ থেকে বহু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এমনকি সরকারি চাকরি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। তার পর সবই হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছে।’

বেঁচে থাকার জন্য অন্তত কিছু অন্তত করুক সরকার। এমনই আবেদন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে দেখা করেন মনমোহন। একবার নয় চারবার। কিন্তু কিছুই হয়নি। শেষপ‌র্যন্ত ভেঙে পড়েছেন এই প্যারা অ্যাথলিট। ভিক্ষের পাত্র নিয়ে তাঁকে এখন রাস্তায় দাঁড়াতে হয়েছে।

আরও পড়ুন-চাঞ্চল্যকর মোড়, হরিদেবপুর কাণ্ডে ভ্রুণের বদলে মিলল মেডিক্যাল বর্জ্য!

মনমোহন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গলায় মেডেল ঝুলিয়ে, জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দিয়ে রাস্তায় ভিক্ষা করাবেন। সেটাই এখন তিনি করছেন। সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেন, ‘আমার আর্থিক অবস্থা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। খেলার জন্য টাকা চাই। সংসার চালানোর জন্য টাকা চাই। মুখ্যমন্ত্রী ‌যদি পাশে না দাঁড়ান তাহলে রাস্তায় ভিক্ষে করেই জীবন চালাব।’

লোধি অবশ্য একা নন। দেশের বহু অ্যাথলিটের সঙ্গেই এরকম করেছেন রাজনীতিববিদরা। খবরে আসার জন্য তাঁরা কোনও মোডেলজয়ী অ্যাথলিটের বাড়ি ‌যান, তাঁকে স্বাগত জানান, সংবর্ধনা জানান। তার পরই সবই মিলিয়ে ‌যায়। এবার এশিয়াডে মেডেল জয়ীদেরও বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। দেখার বিষয় তা শেষপ‌র্যন্ত পূরণ হয় কিনা।

.