শামির ডায়েটে রয়েছে রেড মিট, তাও আবার এক কেজি করে...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রকৃত যোদ্ধা শব্দটি তাঁর সঙ্গেই ভীষণ ভাবে প্রযোজ্য়। কথা হচ্ছে ভারতীয় দলের সুপারস্টার মহম্মদ শামিকে (Mohammed Shami) নিয়ে। মাঠ ও মাঠের বাইরে তাঁকে একাধিক প্রতিকৃলতার মধ্য়ে দিয়েই যেতে হয়েছে প্রতিনিয়ত। একদিকে ক্রিকেট, অন্য়দিকে ব্য়ক্তিগত জীবনে সুনামি। আর এসবের পরেও শামি তো শামিই! তাঁর বোলিং প্রতিপক্ষের কাছে ত্রাসের বিজ্ঞাপন। এহেন শামি ফিট থাকতে নিয়মিত যেমন শরীরচর্চা করেনই, তেমনই খাওয়াদাওয়াও করেন একদম মেপে, কঠোর ডায়েটই ফলো করেন তিনি।
শামির খুব ভালো বন্ধু উমেশ কুমার। যিনি উত্তরাখণ্ড বিধানসভারও সদস্য়। তিনি সম্প্রতি এসেছিলেন শুভঙ্কর মিশ্রর পডকাস্টে। সেখানে শামির খাদ্য়ভাসের ব্য়াপারে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য ফাঁস করেন উমেশ। তিনি শুভঙ্করকে বলেন, 'দেখুন শামি সব সহ্য় করতে পারে। কিন্তু ও মাটন ছাড়া বাঁচতে পারবে না। যদিও একদিন মাটন ছাড়া থাকে, তাহলে দ্বিতীয় দিনই অস্থির হয়ে পড়ে। তৃতীয় দিন না পেলে ওর মাথা ঠিক থাকে না। শামি যদি প্রতিদিন ১ কেজি করে পাঁঠার মাংস না খায় তাহলে ওর বলের গতি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৫ কিলোমিটার করে কমে যায়।' শামি কোনও জাংক ফুড খান না, মিষ্টি থেকেও থাকেন দূরে। স্য়ালাডই খান মূলত। বাদ দিয়েছেন ব্রেডও। শামি আগুনে গতির পেসার না হলেও, তিনি কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে ১৪০ থেকে ১৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় বল করে যান। সুইংয়ের সঙ্গে এই গতির মিশেলই হয়ে ওঠে ভয়ংকর। তার সঙ্গে তেমনই শামির লাইন-লেন্থও।
ঘরের মাঠে গতবছর বিশ্বকাপ দেখেছে যে, শামির আগুন। বিশ্বকাপে বারবার শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। প্রথম চার ম্যাচ তাঁকে খেলায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু ৭ ম্যাচে তিনি একাই ২৪ উইকেট তুলে নেন আগুনে পারফরম্যান্সে। হয়েছেন বিশ্বকাপের সর্বাধিক উইকেট শিকারিও। শামি মারাত্মক লাইন-লেন্থ-সুইং বিপক্ষের কাছে ছিল ত্রাসের বিজ্ঞাপন। বিশ্বকাপের পর থেকে আর মাঠেই নামতে পারেননি শামি।
দীর্ঘদিন গোড়ালির চোটে ভোগা শামিকে বাধ্য় হয়েই গত মার্চের মাঝামঝি সময়ে বিদেশে গিয়ে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল। কাজে দেয়নি ইঞ্জেকশনও। করাতে হয় অস্ত্রোপচারও। তবে শামি এখন অনেকটাই ফিট। ৩৩ বছরের উত্তরপ্রদেশের ক্রিকেটার নেটে বল হাতে নেমে পড়লেন। বোলিং শুরু করে দিয়েছেন শামি। মনে করা হচ্ছে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেই হবে তাঁর প্রত্য়াবর্তন।
বলতে বলতে গোওওওল... থেকে বোলারের মাথার উপর দিয়ে তুলে ছয়! মূলত ক্রীড়া সাংবাদিকতায়, তবুও বিনোদন থেকে বিজ়নেস, সর্বত্র কলম-ক্যামেরায় বিচরণ। ২০১১ সালে সাংবাদিকতার বাইশ গজে ডেবিউ। প্রিন্ট-টিভি-ডিজিটাল, তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১৪ বছরের চলমান ইনিংস। লিখতে লিখতে কাট যায়ে রাস্তে...এমনই ভাবনা আজীবন শিক্ষানবিশের...
By accepting cookies, you agree to the storing of cookies on your device to enhance site navigation, analyze site usage, and assist in our marketing efforts.