WTC 2023 Final | Sourav Ganguly: 'বিগত ১০০ বছরে হয়নি'! তুমুল সমালোচনায় 'দাদা', একেবারে উড়িয়েই খেললেন
Sourav Ganguly on India's collapse on Day 5 of the WTC final: ওভালে ডব্লিউটিসি ফাইনালের শেষ দিনে এসে ভারত ডুবেছে। রানের পাহাড় তাড়া করতে নেমে, সেই রানের পাহাড়েই চাপা পড়ে যান বিরাট-রোহিতরা। এবার টিম ইন্ডিয়াকে বিঁধলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০১৯-২১ ডব্লিউটিসি সাইকেলে ভারত ফাইনাল খেলেছিল নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ক্যাপ্টেন ছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। কোচ ছিলেন রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri)। সময় বদলেছে, বছর ঘুরেছে। ২০২১-২৩ ডব্লিউটিসি সাইকেলে ভারত ফাইনাল খেলল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। অধিনায়কত্বের ব্যাটন বিরাটের থেকে গিয়েছে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) হাতে। শাস্ত্রীর জুতোয় পা গলিয়েছেন কিংবদন্তি রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। কোচ-অধিনায়ক বদলেও ভারতের নিটফল দাঁড়াল সেই একই। হেরে গেল ভারত।
স্কোরবোর্ড বলছে অস্ট্রেলিয়া টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ৪৬৯ রান তুলেছিল। জবাবে ভারতের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় ২৯৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে অজিরা ২৭০/৮-এ ডিক্লেয়ার করে। ভারতের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৪৪। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে ভারত ৩ উইকেটে ১৬৪ রান তুলেছিল! শেষ দিনে দরকার ছিল ২৮০। হাতে ছিল সাত উইকেট। শেষ দিনে দেড় সেশনে বাজিমাত করে অস্ট্রেলিয়া। ২০৯ রানে জেতে অস্ট্রেলিয়া। ভারত গুটিয়ে যায় ২৩৪ রানে। বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানে ও রবীন্দ্র জাদেজাই ছিলেন ভারতের ভরসা। তবে এই তিন ব্যাটারের কেউই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। কিছুটা হলেও লড়েছিলেন রাহানে। টেস্ট বিশ্বযুদ্ধের ফাইনালে ভারতের ব্যাটাররা ডুবিয়েছেন। এই কথা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। ম্যাচের পর ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক ও বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। বিরাট-রোহিতদের পোস্টমর্টেম করেন হরভজন সিংয়ের (Harbhajan Singh) সঙ্গে। ম্যাচের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে বিরাট-রোহিতদের সমালোচনা করলেন দাদা। একেবারে উড়িয়েই খেললেন তিনি।
আরও পড়ুন: WTC 2023 Final: 'কেন প্রথমে বল করলে?' সৌরভের চাঁছাছোলা প্রশ্ন দ্রাবিড়কে! নড়ে গেলেন 'দ্য ওয়াল'
হরভজনকে সৌরভ বলেন, 'রবির সকালে অবশ্যই অ্যান্টি-ক্লাইম্যাক্সের প্রত্যাশায় ছিলাম আমরা। কিন্তু ২৮০ রান প্রচুর। যেখানে ব্যাটার বলতে তিনজন- বিরাট কোহলি, রবীন্দ্র জাদেজা ও অজিঙ্কা রাহানে। দেখো ইংল্যান্ডের মতো দেশে পঞ্চম দিনের ক্রিকেট একেবারে আলাদা। কারণ উইকেটে উপর-নীচ হয় বল, মুভমেন্ট থাকে। উপর থেকে দেখেলে মনে হবে অত্যন্ত পাটা, সবুজ ঘাসে গতি থাকবে না। কিন্তু ডাবল-পেসড হয়ে যায়। সেটা ইংল্যান্ড হোক বা অস্ট্রেলিয়া। এই কারণেই হয়তো বিগত ১০০ বছরে এই রান হয়নি। ভাজ্জু আমি তোমার সঙ্গে একমত যে, ভারত আরও ভালো লড়াই করতে পারত। এমনকী আমি রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গেও এই ব্যাপারে কথা বলেছি। ওকে প্রশ্ন করার সময়ে আমার মনেও কিছুটা ধন্দ ছিল। কারণ আমি নিজে ক্রিকেটটা খেলেছি। ম্যাচ জিতেছি, হেরেছি। কিন্তু কখনও জিজ্ঞাসা করতে হয়। বিগত পাঁচ বছরে এখানে ব্যাটারদের গড় ২৬ থেকে ২৮। সে যতই বড়ই প্লেয়ার হোক না কেন! এক বড় টুর্নামেন্ট জিততে গেলে রান করতে হবেই। যেটা ভারত করতে পারেনি।' সৌরভকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পাওয়া গিয়েছে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায়।