Virat Kohli : ঘাড় থেকে বাঁদর নামল! প্রিয় বিরাটকে নিয়ে কেন এমন মন্তব্য করলেন রবি শাস্ত্রী?
Virat Kohli : এশিয়া কাপে নামার আগে বিরাটের মনের মধ্যে সুনামি চলছিল। এশিয়ার সেরা হওয়ার লড়াইয়ে নামার আগে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলে দিয়েছিলেন যে, তিনি ডিপ্রেশনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ১০২১ দিন ও ৮৪ টি আন্তর্জাতিক ইনিংসের পর এসেছে শতরান। আর এই ১০২১ দিনে রয়েছে হাজারও যন্ত্রণা। না পাওয়ার যন্ত্রণা। এ বার যেন সব পেয়েছির আনন্দ। এই ১০২১ দিনে কিছু ইনিংস শতরানের কাছাকাছি এসেও থেমে গিয়েছে। নিন্দুকরা তা মনে রাখেনি। শতরানকে মাপকাঠি হিসেবে দেখা হয়েছে। এখন সেই মাপকাঠি ছোঁয়ার আনন্দ। আন্তর্জাতিক শতরানের সংখ্যা ৭০ থেকে ৭১ করার জন্য প্রায় তিন বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। শতরান না পাওয়া বিরাট কোহলির (Virat Kohli) যন্ত্রণা খুব সামনে থেকে দেখেছেন রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri)। আফগানিস্তানের (Afganistan) বিরুদ্ধে ৬১ বলে অপরাজিত ১২২ রানের ইনিংস খুব কাছ থেকে দেখেছেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) প্রাক্তন হেড কোচ। তাই তাঁর দাবি শতরান এসে যাওয়ার জন্য, বিরাটের কাঁধ থেকে বাঁদর নেমে গেল!
শাস্ত্রী বলেন, 'আপনারা ১০২০ দিনের কথা বলছেন। আমি বলছি ৭০০ দিনের কথা। ভারতীয় দলের কোচ থাকার সুবাদে ওকে সাজঘরে খুব কাছ থেকে দেখেছি। অনেক দিন ধরে ছেলেটা অপেক্ষা করেছে। অবশেষে বিরাটের ঘাড় থেকে বাঁদর নামল! ও অসাধারণ ব্যাটার বলেই তো আন্তর্জাতিক মঞ্চে ৭০টি শতরান করতে পেরেছে। একজন খেলোয়াড়ের খারাপ সময় আসতেই পারে। অনেক সময় দু’বছর, আড়াই বছর, তিন বছর পর শতরান না পায়, লোকে তখন অবাক হয়ে যায়। একটা কথা ভুলে যাবেন না। বিরাট নিজেও রক্ত-মাংসের একটা মানুষ। ওর মনেও নিশ্চয়ই যন্ত্রণা কুরে কুরে খাচ্ছিল। সকালে ওঠার পর থেকে কোনও না কোনও ভাবে ওর মাথায় সেটা আসছিলই।'
আরও পড়ুন: স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় সৌরভের দলের তারকা! কে তিনি? ক্লিক করে দেখুন
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে শতরান করে আড়াই বছরের খরা কাটিয়েছেন বিরাট কোহলী। দীর্ঘ ১০২০ দিন পর শতরান পেয়েছেন। শাস্ত্রী মনে করছেন, বিরাটের কাঁধের উপর থেকে অনেক বড় বোঝা নেমে গিয়েছে। এ বার অনেক শান্ত মনে খেলতে পারবেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।
শাস্ত্রী ফের যোগ করেছেন বলেছেন, 'মনে হয় এ বার বিরাটের পাঁচ কেজি ওজন কমে গিয়েছে। দয়া করে জিজ্ঞাসা করবেন না কোথা থেকে ওজন কমেছে। নিঃসন্দেহে ওর মাথা থেকে পাঁচ কেজি ওজন কমেছে। ওর ইনিংসের শেষ ৪০ রান দেখলেই বুঝতে পারবেন। সেই পরিচিত শট, সেই আত্মবিশ্বাস, সেই একাগ্রতা, বোলিংয়ের প্রতি সেই মারমুখী মানসিকতা আবার দেখা গেল। অনেক দিন পর সব দেখতে পেলাম।'
এশিয়া কাপে নামার আগে বিরাটের মনের মধ্যে সুনামি চলছিল। এশিয়ার সেরা হওয়ার লড়াইয়ে নামার আগে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলে দিয়েছিলেন যে, তিনি ডিপ্রেশনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এক মাস ছুঁয়ে দেখেননি ব্যাট! যে কথা কার্যত অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল। বাইশ গজে বিরাটের সেই আগ্রাসী ব্যাট কোথাও যেন কর্পূরের মতো উবে গিয়েছিল। স্বভাবতই কোহলির 'বিরাট' ব্যর্থতা নিয়ে সমালোচনা বেড়েই চলেছিল। কিন্তু 'কিং কোহলি' সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিলেন সেই ব্যাট শাসনেই। আগামি ২৩ অক্টোবর থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করছে টিম ইন্ডিয়া। আসমুদ্র-হিমাচল কোহলির 'বিরাট' ব্যাটের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। সেটা এখনই বলা যেতে পারে।