U19 World Cup, INDU19vsENGU19: ঠাকুরদা প্রাক্তন অলিম্পিয়ান, ১২ নম্বর জার্সিধারী Raj Bawa-র চমকপ্রদ উত্থান
ইংল্যান্ডকে একাই শেষ করে দিলেন রাজ বাওয়া।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শুধু ব্যাট হাতে নয়, আগুনে জোরে বোলিংয়ের সঙ্গে বিষাক্ত সুইং মিশিয়ে তিনি বিপক্ষ ব্যাটিংয়ের ঘুম কেড়ে নিতে পারেন। সেটা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালের মঞ্চে দেখিয়ে দিলেন রাজ অঙ্গদ বাওয়া। ১২ নম্বর জার্সিধারী শুধু ৩১ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিলেন না, যে ভাবে বডি লাইনে বল করে জর্জ বেলকে ফেরালেন সেটা দেখে শ্রীসন্থের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। ২০১০ সালের ডারবান টেস্টে এমনই একটা ঘাতক শর্ট বলে জ্যাক ক্যালিসকে ফিরিয়েছিলেন কেরলের পেসার। এ দিন মেগা ফাইনালে এই পঞ্জাব তনয়ের শিকার জর্জ থমাস, উইলিয়াম লাক্সটন, জর্জ বেল, রেহান আহমেদ ও জসুয়া বেডেন।
১২ নম্বরটা ওঁর কাছে খুব প্রিয়। রাজের জীবনের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে এই বিশেষ নম্বর। ওঁর ঠাকুরদা প্রয়াত ত্রিলোচন বাওয়ার জন্ম ১২ ফেব্রুয়ারি। রাজ জন্মেছিলেন ১২ নভেম্বর। ছেলেটার আইডল যুবরাজ সিংয়ের জন্ম ১২ ডিসেম্বর। সেই জন্য ১২ নম্বর জার্সি গায়ে চাপিয়ে বাইশ গজে বছরের পর বছর রাজত্ব করেছেন যুবি। সেই সংস্কার মেনে রাজও ১২ নম্বর জার্সিকে ভালবেসে ফেলেছেন।
আসলে ওঁদের রক্তে খেলাধুলা রয়েছে। ঠাকুরদা ত্রিলোচন বাওয়া ভারতীয় হকি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। ১৯৪৮ সালের অলিম্পিকে ভারতের সোনাজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। সেই ম্যাচে গ্রেট ব্রিটেনের বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে জিতেছিল ভারত। দুটি গোল করেছিলেন প্রয়াত ত্রিলোচন।
আরও পড়ুন: U19 World Cup, INDU19vsENGU19: রাজের পাঁচ উইকেট, বল হাতে রবি উদয়, ১৮৯ রানে শেষ ইংল্যান্ড
আরও পড়ুন: ICC U19 World Cup, INDU19vsENGU19 : মহা ফাইনালের আগে যুব দলকে শুভেচ্ছা জানালেন Sachin, Kohli, Rohit
বাবা সুখবিন্দর বাওয়াও ক্রিকেট খেলতেন। যুবির সঙ্গে ছিল দারুণ বন্ধুত্ব। বাবাকে দেখেই ক্রিকেট খেলায় আসা রাজের। ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ শিবিরে এক বার ডাক পেয়েছিলেন রাজের বারা। কিন্তু মাত্র ২২ বছর বয়সে স্লিপড ডিস্কের জন্য ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। এরপর থেকেই তিনি কোচিং করান।
জি নিউজকে সুখবিন্দর বলেছিলেন, “আমি তখন কোচিং করাচ্ছিলাম। ধর্মশালা স্টেডিয়ামে আমাদের কয়েকটা ম্যাচ ছিল। রাজকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার মাঠের পরিবেশ ওর খুব পছন্দ হয়েছিল। সেই ওর শুরু।“
চলতি বিশ্বকাপে শুরু থেকেই ছন্দে রয়েছেন রাজ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৪৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। এর পরে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪২ রান করেন। তবে গ্রুপের শেষ ম্যাচে উগান্ডার বিরুদ্ধে ব্যাট জ্বলে উথেছিলেন এই তরুণ। ১৪টি চার এবং ৮টি ছয়ের উপর ভর করে ১০৮ বলে অপরাজিত ১৬২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। সেই ইনিংস খেলে ভেঙে দিয়েছিলেন শিখর ধওয়ানের ১৫৫ রানের রেকর্ড। ২০০৪ সালে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই নজির গড়েছিলেন গব্বর। সেই রেকর্ড আর অক্ষত থাকল না।
আগে ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়েছিলেন। এ বার মেগা ফাইনালের মতো আসল মঞ্চে বল হাতে আগুন ঝরালেন। কারণ তাঁর যে অলরাউন্ডার হওয়াই স্বপ্ন।