ISL 2020-21: মিশন ডার্বি, মরসুমের প্রথম মহাযুদ্ধ জয়ের মানসিক প্রস্তুতি শুরু এটিকে মোহনবাগানের বঙ্গ ব্রিগেডের

এটিকে মোহনবাগানের সাত বঙ্গসন্তানের মধ্যে ৬ জনের ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

Edited By: সুখেন্দু সরকার | Updated By: Nov 23, 2020, 08:47 PM IST
ISL 2020-21: মিশন ডার্বি, মরসুমের প্রথম মহাযুদ্ধ জয়ের মানসিক প্রস্তুতি শুরু এটিকে মোহনবাগানের বঙ্গ ব্রিগেডের
ছবি সৌজন্যে : ATK MB

নিজস্ব প্রতিবেদন: মরসুমের প্রথম ডার্বিতে নামার মানসিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে এটিকে মোহনবাগানের বঙ্গ ব্রিগেড। একশো বছর হয়ে গিয়েছে কলকাতা ডার্বি, কিন্তু আইএসএলের মঞ্চে প্রথমবার মুখোমুখি হবে এটিকে মোহনবাগান এবং এসসি ইস্টবেঙ্গল।

রবিবার থেকে বড় ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন এটিকে মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাস। প্রথম ম্যাচেই কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারানোর পর আত্মবিশ্বাসী রয় কৃষ্ণা, প্রীতম কোটাল, অরিন্দম ভট্টাচার্যরা। এটিকে মোহনবাগানের সাত বঙ্গসন্তানের মধ্যে ৬ জনের ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। শুধু তাই নয় পরিসংখ্যানেও সাফল্য প্রায় ৮০ শতাংশ। প্রীতম কোটাল ১৩টি ডার্বি খেলেছেন, জিতেছেন ১০টিতে। শুভাশিস বসু তিনটে ডার্বি খেলে একটিতেও হারেনি।  আর শেখ সাহিল দুটি ম্যাচ খেলেছেন গত মরসুমে, দুটিতেই অপরাজিত। প্রবীর-প্রণয়ের সাফল্য প্রায় একইরকম।

শুক্রবারে বড় ম্যাচে নামার আগে প্রীতম কোটাল জানান, "কেরল ম্যাচ জেতায় শুক্রবারের ডার্বিতে মানসিকভাবে আমরা এগিয়ে থাকব। গতবারের চ্যাম্পিয়ন আমরা। তাই চ্যাম্পিয়ন এর মতোই খেলতে হবে। একটা কথা বলতেই হবে, বাংলার ছেলেদের মধ্যে এই ম্যাচ জেতার একটা বাড়তি উন্মাদনা কাজ করে। অন্তত আমরা তো করে। যে ম্যাচ দেখে ছোট থেকে বড় হয়েছি, সেই ম্যাচে খেলতে নামলে বাড়তি আবেগ তো কাজ করবেই।"

প্রীতমের মতোই এটিকে মোহনবাগানের গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেন, "সবুজ-মেরুন একবারই ডার্বি খেলার সুযোগ হয়েছিল। কিন্তু সেবার যুবভারতীতে ঝামেলায় ম্যাচ ভেস্তে গিয়েছিল। তারপর গোয়া চলে যাই, আর কোনওদিন বড় ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি। তাই এইবার ডার্বি জিততেই হবে।এটা একটা আবেগের ম্যাচ।"

এক বছর মোহনবাগানে তিনটি ডার্বি খেলেছিলেন শুভাশিস বসু। একটা ডার্বি না হারা সেই শুভাশিস বলছেন, "আমাদের দলের বাঙালি ব্রিগেডের ডার্বি অভিজ্ঞতা দারুন। প্রথম ম্যাচ জেতায় টিমের মনোবল বেড়ে গিয়েছে। আর সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে শুক্রবার খেলতে নামব। জিতলেও ৩ পয়েন্টই পাব। তা সত্বেও বলছি আমাদের কাছে ডার্বির গুরুত্ব আলাদা। তবে মাঠে সমর্থক থাকবে না এটাই হতাশার।"

প্রবীর দাস বা প্রণয় হালদারের ওপর অবশ্য ডার্বির তেমন কোনও চাপ নেই। তাঁদের দুজনেরই বক্তব্য যে, এখন চাপ নেওয়াটা অভ্যাস করে ফেলেছি। কিন্তু ছোটবেলা থেকে যে ম্যাচটা খেলার স্বপ্ন নিয়ে বড় হয়েছি সেটা থেকে তিন পয়েন্ট পেতে হবে। আর গত মরসুমে সবুজ-মেরুন জার্সিতে আই লিগ জেতার অন্যতম কারিগর শেখ সাহিলের মন্তব্য, "এই ম্যাচে যে চাপ নেবে সেই বিপদে পড়বে। নিজেদের ফোকাস ঠিক রাখতে হয়। আমাদের দলে যে বাঙালি ফুটবলাররা আছে তারা এই  ম্যাচ এত খেলেছে যে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।"

আরও পড়ুন - বাবার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে বদ্ধপরিকর সিরাজ

.