Digha : বাবা-মার সাথে ঘুরতে গিয়ে হোটেলের সুইমিং পুলের জলে ডুবে মৃত্যু ৭ বছরের মেয়ের
অভিজিৎ বাবু যখন তাঁর বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে হোটেলের রুম দেখতে চলে যান, তখন রিসেপশনে শিশুকন্যা আদিত্রীকে নিয়ে বসেছিলেন অভিজিৎ বাবুর স্ত্রী শ্রীপর্ণা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাবা গিয়েছিল হোটেলের রুম দেখতে। আর মা রিসেপশনে বসে হয়তো একটু 'অন্যমনস্ক' হয়ে পড়েছিল! সেইসময়ই মুহূর্তের মধ্যে ঘটে গেল বিপত্তি। দিঘায় হোটেলের সুইমিং পুলে পড়ে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল ৭ বছরের এক শিশুকন্যার। সকলের অলক্ষ্যে সুইমিং পুলের মধ্য়ে পড়ে যায় ওই শিশুকন্যা। এঘটনায় হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দিঘা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত শিশুর বাবা। অন্যদিকে পাল্টা ওই শিশুকন্যার মায়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে ১৫ অক্টোবর দুপুরে। এই ঘটনায় আজ হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা ও সুইমিং পুলের নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে দিঘা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই শিশুকন্যার বাবা অভিজিৎ পাল। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ১৪ অক্টোবর দিঘায় আসেন অভিজিৎ পাল। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী শ্রীপর্ণা পাল ও ৭ বছরের মেয়ে আদিত্রী পালও।
আদতে শিলিগুড়ির বাসিন্দা এই পর্যটক দলটি প্রথমে ওল্ড দিঘাতে একটি বেসরকারি হোটেলে রাতে থাকেন। তারপর সকালে ফের নিউ দিঘায় সমুদ্রের কাছাকাছি একটি বেসরকারি হোটেলে এসে ওঠেন বাকি কদিন থাকার জন্য। জানা গিয়েছে, অভিজিৎ বাবু যখন তাঁর বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে হোটেলের রুম দেখতে চলে যান, তখন রিসেপশনে শিশুকন্যা আদিত্রীকে নিয়ে বসেছিলেন অভিজিৎ বাবুর স্ত্রী শ্রীপর্ণা। সেইসময়ই সকলের অলক্ষ্যে শিশুকন্যা আদিত্রী সুইমিং পুলের একদম ধারে চলে আসে ও পুলের জলে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন, Kolkata : সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেখে ফাঁদে পা, ১০ লাখ টাকা 'লুঠ'
তারপর অনেক খোঁজাখুঁজির পর সুইমিং পুলের জল থেকে আদিত্রীকে উদ্ধার করে দিঘা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সুইমিং পুলের নিরাপত্তা ও অব্যবস্থার অভিযোগ করেছে মৃত শিশুর পরিবার। অন্যদিকে পাল্টা হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে মায়ের গাফিলতির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে দিঘা থানার পুলিস। এঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দিঘাতে।