Purulia Death: করোনার সময়ে প্যারোলে মুক্তি, বাড়িতে মৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত আসামীর
খুনের মামলায় আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন ওই ব্যক্তি। সংশোধানাগারে থাকাকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন , দাবি পরিবারের।
অনুপ মুখোপাধ্যায়: বছর দুয়েক আগে প্যারোলে সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। বাড়িতে কীভাবে মৃত্যু খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামীর? ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল পুরুলিয়ার বলরামপুরে। শুরু হল ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়র তদন্ত।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম হলধর পরামানিক। বাড়ি বলরামপুর থানার দেওলি গ্রামে। কয়েক বছর আগে বলরামপুর থানারই ডাভা গ্রামে খুন কংগ্রেস কর্মী জয়ন্ত কুমার। জঙ্গল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিস। সেই মামলায় আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন হলধর। সাজা ঘোষণার পর তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে।
আরও পড়ুন: Murder, Suicide: মানসিক রোগীর অপবাদ! ৭ বছরের ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী বাবা, গ্রেফতার মা
করোনা সতর্কতায় তখন লকডাউন চলছে। ২০২০ সালে রাজ্যের ৬০টি সংশোধানাগার থেকে প্যারোলে হাজার তিনেক বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ আদালত। কতদিনের প্যারোল? ৩ মাস। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধানাগার থেকে মুক্তি পান হলধরও। তারপর থেকে দেওলি গ্রামে নিজের বাড়িতেই ছিলেন তিনি। মারা যান গতকাল, বুধবার রাতে।
আরও পড়ুন: 'বিচার চাই, শাস্তি চাই', থানার সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে ধরনায় বৃদ্ধ দম্পতি
পরিবারের লোকেদের দাবি, সংশোধানাগারে থাকাকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন হলধর। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। সেকারণেই মৃত্যু। এদিন সকালে মৃতের বাড়িতে যান বিডিও, পুলিস ও মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারের প্রতিনিধিরা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। শুরু হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়র তদন্ত।