Shantipur State General Hospital: 'দ্বিতীয় অভয়া হয়ে যাবে', সরকারি হাসপাতালে তরুণী চিকিত্সককে হুমকি খোদ সুপারের!
Shantipur State General Hospital: 'যেহেতু আমি ডাক্তার, আমি সবকিছু পরিষেবা দিতে বাধ্য। কিন্তু এখানে এসে, আমি যেহেতু প্যাথোলজিস্ট, আমরা প্য়াথোলজিতে কোন পোস্টিং নেই। এখানে এসে আমাকে ইমারজেন্সি, আউটডোর, তার সঙ্গে ইনডোর আর শিশু বিভাগ ডিউটি দেওয়া হচ্ছে। আমি জানিয়েছিলাম, ক্রিটিক্যাল রোগীদের দেখতে খুব অসুবিধা হচ্ছে'।
বিশ্বজিত্ মিত্র: 'দ্বিতীয় অভয়া হয়ে যাবে'। সরকারি হাসপাতালে হুমকির মুখে তরুণী চিকিত্সক! খোদ সুপারের বিরুদ্ধেই এবার থানায় অভিযোগ দায়ের। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: Bus: রাতারাতি গায়েব হবে ১৫০০ বাস! হাইকোর্টে আরও সময় চাইল রাজ্য...
জানা গিয়েছে, ওই চিকিত্সকের নাম সুকন্যা রায়। শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে সিনিয়র রেসিডেন্ট পদে কর্মরত তিনি। বর্ধমান থেকে এসে, মাত্র এক মাসে আগে কাজে যোগ দিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সুকন্যার অভিযোগ, 'এখানকার যিনি সুপার, তিনি আমাকে এবারে বলেছেন যে, যদি নির্দেশ না মানো, যদি যা বলা হচ্ছে, সেটা যদি না কর, তাহলে কিন্তু দ্বিতীয় অভয়া হয়ে যাবে। যেহেতু আমি ডাক্তার, আমি সবকিছু পরিষেবা দিতে বাধ্য। কিন্তু এখানে এসে, আমি যেহেতু প্যাথোলজিস্ট, আমরা প্য়াথোলজিতে কোন পোস্টিং নেই। এখানে এসে আমাকে ইমারজেন্সি, আউটডোর, তার সঙ্গে ইনডোর আর শিশু বিভাগ ডিউটি দেওয়া হচ্ছে। আমি জানিয়েছিলাম, ক্রিটিক্যাল রোগীদের দেখতে খুব অসুবিধা হচ্ছে'।
ওই চিকিত্সকের দাবি, 'সুপার স্যারকে অনেকবার বলেছি, আমি অন্তত একদিন প্যাথোলজিতে পোস্টিং দিন। ক্নিনিকে আমার কোনও কাজ নেই। আমি চাই না, আমার হাত দিয়ে রোগীর কোনও বিপদ হয়ে যাক।তিনি বললেন, তোমাকে প্যাথোলজি পোস্টিং দেব না। কী করবে, কবে নাও'। জানান, মানসিক চাপে আছি। স্বাস্থ্যের ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। অবসাদের ওষুধ চলছে। আরও কিছু কাউন্সেলিং রয়েছে। শান্তিপুরে আসার পরে, আমি ভয়ংকরভাবে প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হচ্ছি। পারছি না এভাবে ডিউটি করতে'।
আরও পড়ুন: Bread Price Increase: এক ডিমে ছাড় নেই, দোসর পাউরুটি! রবি থেকেই বিরাট দামি...
যাবতীয় অভিযোগই অস্বীকার করেছেন শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার। তাঁর পাল্টা দাবি, 'আমাদের রোস্টার কমিটি যেভাবে রোস্টার দেয়, সেরকমই ডিউটি করা হয়। এখানে প্যাথোলজি বিভাগ যেমন আছে, প্যাথোলজির ডাক্তারদের যেভাবে রোস্টার দেওয়া হয়, সেভাবেই ওকে রোস্টার দেওয়া হয়েছে'। বলেন, মনে হয়, চলে যেতে চাইছেন। কাজের চাপ নিতে পারছেন না। উদ্দেশ্য়প্রণোদিতভাবে করেছেন। দু্র্ব্যবহারের তো প্রশ্ন নেই, কথাবার্তাও কম হয়েছে। CMOH স্যারকে জানিয়েছি। যা বলার তিনি বলবেন'।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)