শ্বশুরবাড়ির গঞ্জনা সহ্য করার পরও শ্বশুরের গুলিতে খুন জামাই
দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নিজের সেভাবে বাসস্থান বলতে কিছু ছিল না। তাই স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতে হত তাঁকে। পাড়া প্রতিবেশী তো বটেই, গঞ্জনা শুনতে হত শ্বশুর-শাশুড়ির কাছ থেকেও। কিন্তু জল যে এতদূর গড়াবে, তা ভাবতেও পারেননি স্ত্রী। নিজের বাবার হাতেই খুন হলেন স্বামী- দেখে নির্বাক গৃহবধূ।
আরও পড়ুন: বিয়ে বাড়িতে এই যুবকের চোখের চাহনিতেই গলেছিল ১৯ বছরের তরুণী, পরিণতি...
জামাইকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরের বিরুদ্ধে। দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গোয়াখালি গ্রামের বাসিন্দা মনি খান। তাঁর পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন মনি। এনিয়ে বিভিন্ন রকম অশান্তি সহ্য করতে হত তাঁকে। ইদানীং তাঁর শ্বশুর নূর মহম্মদের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত গন্ডগোল চলছিল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চরমে ওঠে অশান্তি। শ্বশুর-জামাইয়ের নিত্য দিনের অশান্তিতে অভ্যস্থ ছিলেন প্রতিবেশী থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্যরাও। তাই প্রথমেই খুব বেশি আমল দিতে চাননি তাঁরা। আচমকা একটি গুলির শব্দে টনক নড়ে তাঁদের। দৌড়ে মনিদের বাড়িতে আসতেই নূর মহম্মদকে দৌড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেন তাঁরা। বাড়ির ভিতরে ঢুকে দেকেন উঠোনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মনি।
আরও পড়ুন: দিঘার সমুদ্রে ভূতুড়ে জিনিস! আতঙ্কিত মত্স্যজীবী, পর্যটক, প্রশাসন
তার গায়ে গুলির ক্ষত রয়েছে। বিপদ বুঝতে দেরি হয়নি প্রতিবেশীদের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মনিকে বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত নূর মহম্মদের কোনও খোঁজ নেই। এদিকে বাবার এই কীর্তিতে শোকে স্তব্ধ নূর মহম্মদের মেয়ে। স্বামীকে হারিয়ে বাক্যিহারা তিনি। কীভাবে নূর মহম্মদের কাছে বন্দুক এল, তিনি আদৌ কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।