Purulia Death: স্কুলে মৃত্যুফাঁদ! ফের শৌচাগারের দেওয়াল চাপা পড়ে পড়ুয়ার মৃত্যু, এবার পুরুলিয়া
মালদহের কালিয়াচকের বাঙিটোলা উচ্চ বিদ্য়ালয়েও শৌচাগারে দেওয়াল ধসে প্রাণ হারিয়েছে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার। ঘটনায় ৫ সদস্য়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।
অনুপ মুখোপাধ্যায়: স্কুলেই 'মৃত্যুফাঁদ'? ব্যবধান মাত্র একদিনের। ফের হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল শৌচাগারের দেওয়াল! দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্য়ু হল বালকের। মালদহের পর এবার পুরুলিয়া।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মণীন্দ্র চিত্রকর। বাড়ি, পুরুলিয়ার আদ্রার শ্যামসুন্দরপুর গ্রামে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়াশোনা করত সে। কিন্তু ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির নিজস্ব ভবন নেই। শ্য়ামসুন্দরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়েই পড়ুয়াদের জন্য় খিচুড়ি রান্না করা হয়। রোজকার মতোই এদিন সকালেও স্কুলে গিয়েছিল মণীন্দ্র। তারপর? প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শৌচাগারটি ব্যবহার করে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পড়ুয়ারাও। এদিন সকালে স্কুল চত্বরে খেলাধুলা করছিল কয়েকজন। সেই দলে ছিল মণীন্দ্রও। খেলতে খেলতে আচমকাই শৌচাগারের দেওয়াল বেয়ে উপরে ওঠার চেষ্টা করে সে। ঠিক তখনই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে দেওয়ালটি! গুরুতর আহত হয় বছর নয়েকের ওই বালক। হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: ঐতিহ্য ছাড়তে নারাজ, সরকারি নীল-সাদা পোশাক ফেরাল পড়ুয়ারা
একই ঘটনা ঘটেছে মালদহের কালিয়াচক বাঙিটোলা উচ্চ বিদ্য়ালয়েও। স্কুলে তখন টিফিনের বিরতি চলছে। গতকাল, বৃহস্পতিবার শৌচাগারে গিয়েছিল একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া জিসান শেখ। আচমকাই দেওয়াল ভেঙে পড়ে! ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জিসানের। ঘটনায় ৫ সদস্য়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।
এদিকে মর্শিদাবাদে একটি স্কুলে সিলিং ফ্যান পড়ে আহত হল ২ পড়ুয়া। এদিন সকালে নবম শ্রেণির ক্লাস চলাকালীন আচমকাই খুলে পড়ে সিলিং ফ্য়ানটি। একজন ছাত্রের মাথায়, আর একজনের হাতে আঘাত লেগেছে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, ওই সিলিং ফ্য়ানটিতে যান্ত্রিক গোলযোগ ছিল। কিন্তু বহুবার বলা সত্ত্বেও ফ্যান বদলে দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ।