কোচবিহারে শিক্ষিকাকে ধর্ষণ, খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা
সোমবার এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের দিনহাটা ব্লকের সভাপতি নূর আলম হোসেনের বিরুদ্ধে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার আবহের মাঝেই ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোচবিহারে। সোমবার এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের দিনহাটা ব্লকের সভাপতি নুর আলম হোসেনের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, কোচবিহারের কোচবিহার জেলা পরিষদের বন ও ভূমি দপ্তরের কর্মাধক্ষের পদেও রয়েছেন ওই প্রভাবশালী নেতা।
আরও পড়ুন: বাড়ছে উদ্বেগ, রাজ্য়ের ৫১৬ কনটেনমেন্ট জোনে কড়া নজর প্রশাসনের
জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ওই শিক্ষিকা দিনহাটা থানায় নুর আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনা চাউড় হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। শিক্ষিকার অভিযোগ, শুধু ধর্ষণই নয়। শিক্ষিকাকে প্রাণে মারার হুমকিও দেয় নুর আলম। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে শিক্ষিকা বলেন, তিনি এর আগে থানার অভিযোগ দায়ের করতে আসার সময়ও রাস্তায় নুর আলম তাঁর ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে। অবশেষে গতকাল তিনি দিনহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত ১১, সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৯০০
তবে এই প্রসঙ্গে, নুর আলম হোসেনের যুক্তি, রাজনৈতিক চক্রান্ত করেই তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। বিরোধী দল এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলেই মনে করছেন তিনি। আইন গত ভাবেই এর জবাব দেবেন বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন জেলা পরিষদের এই কর্মাধক্ষ।
শিক্ষিকার স্বামী নিজেও একজন শিক্ষক। ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি জানান, "সরলতার সুযোগ নিয়ে বাড়িতে ঢুকে এই কাজ করেছে নুর আলম হোসেন। ঘটনার পর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করারও চেষ্টা করেছে। এরপরই আমার স্ত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। চিকিৎসা করে সুস্থ হবার পর সব ঘটনা খুলে বলে। আমরা থানায় দ্বারস্থ হওয়ার চেষ্টা করলে আমাদেরকে প্রাণে মারার হুমকি দেয় নুর আলম হোসেন।" এমনকী নুর জানায়, জানায় পুলিস ও তার হাতেই আছেই।