বিএসএফ-এর হাতে ধর্ষিতা গৃহবধূ, তীব্র প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে
জানা গিয়েছে বাগদায় সীমান্ত অঞ্চলের রাস্তা দিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ হেঁটে আসছিলেন বসিরহাটের এক গৃহবধূ। তাঁর কোলে ছিলেন পাঁচ বছরের এক শিশুকন্যা। অভিযোগ সীমান্ত পেরোনোর চেষ্টার অভিযোগে তাকে সেই সময় ডিটেন করা হয়। ওই মহিলার অভিযোগ শিশু সহ তাঁকে ডিটেন করার পড়ে ক্ষেতের কাছ একটি নির্জন জায়গায় তাঁকে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষন করা হয়। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বিএসএফ-এর এক কনসটেবল এবং এএসআই-কে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিএসএফ-এর হাতে নির্যাতনের শিকার মহিলা। ছাড় পেলনা শিশুকন্যাও। পাঁচ বছরের শিশুর সামনেই গণধর্ষনের শিকার বাগদার মহিলা। ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত ২ বিএসএস কনস্টেবল। ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শাসক দল তৃনমূল। তৃনমূলের সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, ‘একজন মহিলা ধর্ষিতা হয়েছেন দুজন বিএসএফ জওয়ানের হাতে। এটা একটা জঘন্য ঘটনা। আমরা অনেকদিনই বলেছি যে বিএসএফ সীমান্ত এলাকায় এক সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করেছে। অমিত শাহ কেও বলেছি। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, বিএসএফ-এর দায়িত্বে। বিএসএফ-এর সংশোধন হয়নি। এই ধর্ষনের ঘটনা আবার দেখিয়ে দিল যে বিএসএফ-এর জওয়ানরা কতটা বেপরওয়া হয়ে গিয়েছে। অমিত শাহ আসার পর তো বিএসএফ আরও খারাপ হয়েছে আমরা দেখতে পাচ্ছি। অন্তত পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ-এর ভুমিকা খুবই খারাপ’।
তিনি আরও বলেন, ’প্রায়ই সীমান্ত এলাকায় গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিএসএফ-এর লড়াই বেধে যাচ্ছে’। অন্যদিকে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘তদন্ত হওয়া উচিত, কতটা সত্যমিথ্যা জানি না। কাশ্মীরেও এরকম সেনার উপরে বার বার অভিযোগ করা হত। বেশিরভাগই ফলস ছিল। আর যদি কেউ এরকম করে থাকে তাহলে খুবই ভয়ংকর অপরাধ হয়েছে। শাস্তি হওয়া উচিত’।
জানা গিয়েছে বাগদায় সীমান্ত অঞ্চলের রাস্তা দিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ হেঁটে আসছিলেন বসিরহাটের এক গৃহবধূ। তাঁর কোলে ছিলেন পাঁচ বছরের এক শিশুকন্যা। অভিযোগ সীমান্ত পেরোনোর চেষ্টার অভিযোগে তাকে সেই সময় ডিটেন করা হয়। ওই মহিলার অভিযোগ শিশু সহ তাঁকে ডিটেন করার পড়ে ক্ষেতের কাছ একটি নির্জন জায়গায় তাঁকে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষন করা হয়। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বিএসএফ-এর এক কনসটেবল এবং এএসআই-কে।
আরও পড়ুন: BSF জওয়ানদের যৌনলালসার শিকার যুবতী, অবস্থা সংকটজনক
অন্যদিকে তৃনমূল নেত্রি এবং রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, ‘যে কারণই হোক না কেন একজন মানুষ সীমান্ত পেরচ্ছিলেন। তাহলে তাঁকে তো প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে। কিন্তু তাঁর এই চরম শাস্তি হবে’? তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বহুবার তাঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করেছি। এটা নিয়ে আমরা কেন্দ্রের বিরোধীতা করেছিলাম। আমরা এটাই বলব যারা ১৫ কিলোমিটারে এই অত্যাচার করছে, তাদেরকে আবার ৫০ কিলোমিটার অবধি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জুরিসডিকশন’। তাহলে এই জুরিসডিকশন বাড়িয়ে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে এটা নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা কিনা সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘কেন্দ্র বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়িয়েছে এবং তাদের আরও ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। যে অফিসারদের মূল কর্তব্য জনগণকে রক্ষা করা, তারাই সাধারণ মানুষকে ধর্ষণ করছে, গরু পাচারে লিপ্ত হচ্ছে, এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে নির্যাতন করে চলেছে’।