Abhishek Banerjee: 'ক্ষমতা থাকলে আমাকে গ্রেফতার করুন', স্ত্রীকে ইডির তলবে মোদীকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
'এত গায়ে জ্বালা কেন, বারো মাসে একটি সমন এল না। যখন থেকে নবজোয়ার শুরু হয়েছে, কখনও কয়লা কেসে সমন, কখনও এসএসসিতে সমন'!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'ক্ষমতা থাকলে আমাকে গ্রেফতার করুন'। স্ত্রী রুজিরাকে ইডি তলব করার পর, ফের মোদীকে চ্যালেঞ্জ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'এত গায়ে জ্বালা কেন, বারো মাসে একটি সমন এল না। যখন থেকে নবজোয়ার শুরু হয়েছে, কখনও কয়লা কেসে সমন, কখনও এসএসসিতে সমন! তৃণমূল কংগ্রেস মাঠে-ময়দানে, বিশেষ করে আমি যে রাস্তায় পড়ে রয়েছি, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা দেখে পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। রাতে ঘুম উড়িয়ে গিয়েছে'।
কয়লা পাচার মামলায় ফের তলব রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিদেশ যাওয়ার পথে এবার কলকাতা বিমানবন্দরেই এবার তাঁকে নোটিশ ধরাল ইডি। সিজিও কমপ্লেক্সে কবে হাজিরা? ৮ জুন।
এদিকে দিনভর নবজোয়ার কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিলেন অভিষেক। রাতে তিনি বলেন, 'আজকে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা প্রমাণ করে যে দেশে আইনের শাসন নেই। সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন এরা মানে না। আমি ভদ্রতার খাতিয়ে ৫ তারিখ যে আমার স্ত্রী যাচ্ছে, ৩ তারিখ ইডিকে জানানো হয়েছিল। যদিও জানানোর দরকার ছিল না কোর্টের নির্দেশমতো। তাও ভদ্রতার খাতিরে জানিয়েছিলাম। যদি উদ্দেশ্য খারাপ হত, তাহলে জানাতাম না। যদি সমন দেওয়ার থাকত, আমি ৩ তারিখ জানিয়েছি, ৩ তারিখ রাতে পাঠান। ৪ তারিখ পাঠান। কেউ বারণ করেনি'।
এর আগেও, কয়লা পাচার মামলায় রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল ইডি। সেবার আড়াই বছরে ছেলেকে সঙ্গে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি।
অভিষেক বলেন, 'গত বছরের জুন মাসে তাকে শেষবার ডাকা হয়েছিল। প্রায় ১২ মাস, তাঁকে ডাকেনি। সে বলল, ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৭ দিন খালি আমাকে ডাকবেন না। এই সময়টা আমি থাকব না। ৫ তারিখে সমন দিয়ে ৮ তারিখে ডেকেছে। ৩ বছরের ছেলে, ৯ বছরের মেয়ে। তাদেরকেও আটকেছে। তাদের অপরাধ কী! তারা আমার সন্তান। স্ত্রীকে গ্রেফতার করলেও মাথা নত করব না, আমার বাচ্চাকে গ্রেফতার করলেও মাথা নত করব না'।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: নবজোয়ার কর্মসূচিতে এবার ফুরফুরা শরীফে অভিষেক
স্রেফ প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় সরকার নয়, শুভেন্দু অধিকারীকেও 'গদ্দার' বলে নিশানা করেন অভিষেক। বলেন, 'যে সবথেকে বড় চোর, গদ্দার, আজ সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছেন, আমার স্ত্রীকে নাকি সোনা পাচার করতে গিয়ে CISF ধরেছিল। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, বিমানবন্দরে ৫০০ টা সিসিটিভি রয়েছে। সেই সিসিটিভি বিধাননগর কমিশারেটের অধীনে পড়ে না। CISF-র অধীনে পড়ে। সিসিটিভি ফুটেজ বার করতে পারবে!নামও নেয় না তো, সেকারণে মানহানি মামলা করা যায় না। সর্বত্র মিথ্যা কথা বলে'।