'প্রেম ছিল রহমানের সঙ্গে, ওর গেঞ্জি দিয়ে শ্বাসরোধ করেই খুন', রাজগঞ্জে নাবালিকা ধর্ষণ-খুনে কবুল ধৃতের

গোটা ঘটনায় পুলিসি গাফিলতির অভিযোগ। অভিযোগ, তদন্তকারী অফিসার তদন্ত চলাকালীন আসামীর সঙ্গে বসে সিগারেট খেয়েছেন। 

Edited By: সুদেষ্ণা পাল | Updated By: Aug 21, 2020, 06:58 PM IST
'প্রেম ছিল রহমানের সঙ্গে, ওর গেঞ্জি দিয়ে শ্বাসরোধ করেই খুন', রাজগঞ্জে নাবালিকা ধর্ষণ-খুনে কবুল ধৃতের
নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজগঞ্জে নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর খুন করে সেফটি ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় পর্দাফাঁস। জেরায় নাবালিকাকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত জমিরুল। আরেক অভিযুক্ত রহমানের গেঞ্জি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে নাবালিকা খুন করেছে বলে পুলিসি জেরায় কবুল করেছে জমিরুল। এদিন ধৃত ৩ জনকে জলপাইগুড়ি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হলে ৮ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অন্যদিকে এই ঘটনার তদন্তে পুলিসি গাফিলতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক খগেশ্বর রায়।

গত ১০ অগস্ট রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার লাল স্কুল পাড়া গ্রাম থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ১৬ বছর বয়সী দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। পরিবারের পক্ষ থেকে রাজগঞ্জ থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৩০ বছরের রহমান আলি, ২৮ বছরের জমিরুল হক এবং ৩২ বছরের তমিরুল হককে। কিন্তু এখানেই উঠছে পুলিসি গাফিলতির অভিযোগ। স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান সৌকত আলির কথা অনুযায়ী, মেয়েটি নিখোঁজ হওয়ার পর তার মায়ের কল রেকর্ড পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তিনি। অভিযুক্ত রহমান আলিকেও পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তিনি। তখনও মেয়েটি ছিল রহমানের বাড়িতে। কিন্তু তারপরেও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস। এরপর গতকাল মেয়েটির দেহ উদ্ধার হয়েছে।

এই ঘটনায় সরব হয়েছেন এলাকার বিধায়ক খগেশ্বর রায়। তিনি ডিএসপির কাছে পুলিসি গাফিলতির কথা উল্লেখ করেছেন। অভিযুক্ত পুলিস অফিসারদের বদলির দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পাশপাশি দুষ্কৃতীদের ফাঁসির দাবি তুলেছেন বিধায়ক খগেশ্বর রায়। পুলিসি গাফিলতির বিষয়ে বিধায়ক প্রশ্ন তুলেছেন তদন্তকারী অফিসার দেবাশিষ পালের ভূমিকা নিয়ে। তাঁর অভিযোগ, ওই অফিসার তদন্ত চলাকালীন আসামীর সঙ্গে বসে সিগারেট খেয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জলপাইগুড়ি জেলার পুলিস সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, সিনিয়র অফিসার দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করা হবে। যদি বিধায়কের অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয় তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে অভিযুক্ত জমিরুল হক পুলিসি জেরায় স্বীকার করে যে রহমানের গেঞ্জি দিয়েই সে নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। পুলিসকে সে জানিয়েছে, "ওই নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল রহমানের। রহমান তাকে ফোন করে বলেছিল যে, সে মাসির মেয়েকে নিয়ে এসেছে। তারা দুজন একে অপরকে ভালোবাসে। আগামিকালই বাবা মায়ের সম্মতি নিয়ে বিয়ে করবে। শুধু আজ রাতটুকু আশ্রয় চায়। কিন্তু পরদিনই রহমান বলে এই মেয়েটিকে খুন না করলে তারা সকলে ফাঁসবে।" তাই জমিরুল খুন করে মেয়েটিকে। আরেক অভিযুক্ত তমিরুল হক দাবি করেছে, সে নির্দোষ। খুনের বিষয়ে কিছু জানে না। তমিরুলের বাড়িতে এরা শুধুমাত্র এক রাত ছিল।

আরও পড়ুন, লাগাম ছাড়া বিল! বেসরকারি হাসপাতালে এবার করোনা চিকিৎসার খরচ বাঁধতে চলেছে স্বাস্থ্য কমিশন

.