Mandirbazar: মৃতদেহ উদ্ধার চাঁদপুরে; স্ত্রী ও মেয়ে খুন করে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
তুহিনার স্বামী ঘটনার পর থেকে পলাতক। ইতিমধ্যেই আজিদ জমাদারের প্রথম স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নিজের চার বছরের শিশু কন্যা ও স্ত্রীকে খুন করে ফেরার স্বামী। মন্দিরবাজারের চাঁদপুর এলাকায় শিশু কন্যা ও মহিলার খুনের ঘটনায় উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে চাঁদপুরে শিশু কন্যা ও মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধারের পর তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ দুটি তুহিনা বিবি ও তার ৩ বছরের কন্যা সোহানা জমাদারের। তুহিনার বয়স ২৩ বছর। তারা মন্দিরবাজার থানার দিকবেড়িয়ার বাসীন্দা বলে জানা গেছে।
ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন জানিয়েছে, তুহিনা খাতুনের স্বামী আজিদ জমাদার গত বুধবার মেয়ের ডাক্তার দেখানোর জন্য ফোন করে ডাকে তুহিনাকে। পরে তুহিনার স্বামী রাত ৯টা নাগাদ শ্বশুর বাড়িতে ফোনে জানায় তারা সপরিবারে তামিলনাড়ু যাচ্ছে। কিন্তু তুহিনা ফোনে জানায় সে শ্বশুরবাড়ি দিকবেড়িয়াতে যাচ্ছে। এরপর থেকে আর ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানিয়েছে তুহিনার বাপের বাড়ির লোকজন।
অন্যদিকে মেয়ে বাড়ি না ফেরায় পরের দিন শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাড়িতে তালা দেওয়া। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করেও তুহিনার খোঁজ মেলেনি। সোমবার দেহ উদ্ধারের পর পুলিসের পক্ষ থেকে মহিলার পরিচয় শনাক্তকরনের জন্য খোঁজ খবর শুরু হলে তুহিনার বাপের বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ মর্গে গিয়ে দেহ শনাক্ত করে।
আরও পড়ুন: Kalna: বিয়ের খরচ ফেরত দেবে কে? নববধূর মৃত্যুর পর চলল দর কষাকষি, পড়ে রইল দেহ
অন্যদিকে তুহিনার স্বামী ঘটনার পর থেকে পলাতক। ইতিমধ্যেই আজিদ জমাদারের প্রথম স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিস। তুহিনার বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ তাদের মেয়ে ও নাতনিকে পরিকল্পনা করে খুন করার পর মাঠের মধ্যে দেহ দুটি পুতে দিয়েছে স্বামী আজিদ জমাদার ও তার পরিবারের লোকজন।
ঘটনায় পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।