Breaking: সমস্ত পুজো প্যান্ডেলই NO ENTRY ZONE, জনস্বার্থ মামলায় রায় হাইকোর্টের
এদিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, রাস্তায় ভিড় নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা অভিযান চালাতে হবে প্রশাসনকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: "রাজ্যের ছোটো, বড় সমস্ত পুজো প্যান্ডেলই নো এন্ট্রি বাফার জোন, প্যান্ডেল এরিয়ায় থাকবে ব্যারিকেড। লেখা থাকবে নো এন্ট্রি জোন। মণ্ডপে একসঙ্গে ১৫ থেকে ২৫ জনের বেশি নয়। পুজোর ভিড় নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় এমনটাই রায় দিল হাইকোর্ট। পাশাপাশি এদিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, রাস্তায় ভিড় নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা অভিযান চালাতে হবে প্রশাসনকে।
এ বিষয়ে বিচারপতির বেঞ্চের পরামর্শ, শহরে যেমন মার্কেটে ভিড় হচ্ছে, সেটার পুনারাবৃত্তি হতে দেওয়া যায় না। ভার্চুয়াল কভারেজ করা যেতে পারে। সাধারণ দর্শক ভার্চুয়াল দেখবেন। জনস্বার্থে সব প্যান্ডালে নো এন্ট্রি জোন করতে হবে। এমনকি ছোট প্যান্ডেলে ৫ মিটার দূরত্ব, বড় ক্ষেত্রে ১০ মিটার দূরত্ব রাখতে হবে। প্যান্ডেলের এরিয়া ব্যারিকেড করতে হবে। সেখানে NO ENTRY লিখে দিতে হবে। একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। তাতে কমিটির যাঁদের নাম থাকবে, তাঁরা ছাড়া বাইরের কেউ আসবেন না। তাঁদের নাম তালিকা আগে থেকে দিতে হবে। রাজ্যের যে ৩৪ হাজার পুজো কমিটি অনুদান নিয়েছে এই নিয়ম সকলের জন্য প্রযোজ্য।
আরও পড়ুন: করোনাজয়ীদের নিয়ে শহরে রিকভারি ক্লিনিক অ্যাপোলো'র
পুজোয় স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল চিকিৎসকমহল। এরপরই রাজ্যে ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়। শুনানিতে রাজ্যের কাছে জানতে চাওয়া হয় ভিড় নিয়ন্ত্রণের রূপরেখা। পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য গাইডলাইন তৈরিতেও মুখ্য এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। বলা হয়, "এতে কোনও সন্দেহ নেই রাজ্য পর্যাপ্ত গাইডলাইন তৈরি করেছে। এটাও ঠিক যে পুলিস, প্রশাসনও সমস্ত গাইডলাইন পালন করবেন।"
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, "৩ হাজার পুজো মণ্ডপ আছে। ৩০ হাজার পুলিস আছে। খুব বেশি হলেও তা ৩২ হাজার হতে পারে। ফলে ট্রাফিক কন্ট্রোল, রোজকার বিভিন্ন তদন্তের কাজ করে তিন হাজার পুজোমন্ডপ ভিড় সামলানো সম্ভব নয়। পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা-সহ একাধিক পরিষেবা নেই।" এরপরই একাধিক দিক খতিয়ে দেখে দর্শকশূন্য পুজোর সিদ্ধান্তের পথেই হাঁটল হাইকোর্ট।