Balurghat Hili Rail: রেলের দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকায় জমি কিনে বাড়ি করা যাবে তো! সন্ধিহান বালুরঘাটের ১০০ পরিবার
Balurghat Hili Rail: গত বছর দুর্গাপুজোর পর থেকেই টাকা দেওয়া হবে বলে শুনেছেন জমি দাতারা। তাদের বসবাসের বাড়ি এবং জায়গা ছেড়ে চলে যেতে হবে অন্যত্র। এই ১০০ টি পরিবারকে জমি কিনে বাড়ি করে নিতে হবে
শ্রীকান্ত ঠাকুর: হিলি-বালুরঘাট রেল প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। সীমানা নির্ধারণ হয়েছে ও জমি চিহ্নিত করণের কাজ হয়েছে আগেই। জমিদাতাদের কাছে কাগজপত্র নিয়ে শুনানিও করেছে জেলা প্রশাসন। একাধিক বার সেই প্রক্রিয়া হয়েছে। কিন্তু জমিদাতাদের অনেকেই এখনো তাদের প্রাপ্য টাকা হাতে পাননি। কবে পাবেন তাও জানেন না। এমনকী কত পরিমাণ টাকা ধার্য করা হয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। যে কারণে মানসিক দোলাচলে ভুগছেন বালুরঘাট শহর লাগোয়া ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তত একশটি পরিবার।
আরও পড়ুন-'ডাক্তারের সঙ্গে পরকীয়া কাকিমার, দেখে ফেলায় ঘরে আগুন দিয়ে বাবা-মা-ভাইকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দিল'
বালুরঘাট হিলি রেল প্রকল্পের প্রস্তাবিত লাইন আত্রেয়ী নদী পেরিয়ে বালুরঘাট শহরে ঢুকে ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা দিয়ে ঢুকবে হিলি ব্লকে। বালুরঘাট পৌরসভা লাগোয়া ভাটপাড়া গ্রামাঞ্চলের যে দিকে রেল লাইন যাবে সেখানকার অধিকাংশ বাসিন্দাই এখনো তাদের প্রাপ্য টাকা পাননি। অথচ জেলা প্রশাসন দাবি করছে আগামী জুলাই মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে এক তৃতীয়াংশ জমি তুলে দেওয়া হবে রেল কর্তৃপক্ষের হাতে এবং দুর্গাপূজার মধ্যেই ৭০ শতাংশ জমি রেলের হাতে তুলে দেওয়া হবে রেল পথ সম্প্রসারণ এর কাজ শুরু করার জন্য। কিন্তু গ্রাউন্ড রিয়েলিটি হচ্ছে জমি দাতাদের কাছে এখনো টাকা পৌঁছায়নি।
গত বছর দুর্গাপুজোর পর থেকেই টাকা দেওয়া হবে বলে শুনেছেন জমি দাতারা। তাদের বসবাসের বাড়ি এবং জায়গা ছেড়ে চলে যেতে হবে অন্যত্র। এই ১০০ টি পরিবারকে জমি কিনে বাড়ি করে নিতে হবে। এই সুযোগে এলাকায় জমির দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। কোনও জায়গায় দ্বিগুণেরও বেশি দাম বেড়েছে জমির। কিন্তু সরকারি কোষাগার থেকে কত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বা যে হিসেবে টাকা দেওয়া হবে সেই টাকা দিয়ে আদৌ জমি কিনে বাড়ি করা যাবে কিনা তা নিয়ে সন্ধিহান জমি দাতারা। এমনকি তাদের অভিযোগ জমি দান করতে সম্মতি জানিয়েছেন কিন্তু কত দাম দেওয়া হবে জমির জন্য তা তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। এমনকি বারবার জেলা প্রশাসনিক দপ্তরে গিয়েও তারা জানতে পারেননি কত টাকা পেতে পারেন? সেই কারণে সমস্যায় পড়েছেন এই ১০০ টি পরিবার।
স্থানীয় বাসিন্দা লোকনাথ হালদারের দাবি সরকারি ওয়েবসাইটে অর্থাৎ valuation প্রক্রিয়ায় এলাকার জমির দাম যা দেখাচ্ছে তার থেকে দ্বিগুণ দাম দিতে হবে। তা না হলে জমিদাতাদের পক্ষে নতুন করে জমি কিনে বাড়ি করা সম্ভব হবে না। বারবার অফিসে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছে আমরা টাকা পাইনি। কার সাথে যোগাযোগ করব বুঝতে পারছি না। জমির কত দাম দেবে তাও আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। এই বিষয়গুলো আমাদের কাছে পরিষ্কার হওয়া দরকার।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য জমি দাতাদের কাছে সঠিকভাবেই টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে জমির কাগজপত্রের সমস্যা থাকার টাকা দেওয়া যাচ্ছে না। বাম আমলে বেশকিছু সরকারি জমিতে লোকজনকে টাকা ছাড়া বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার এমন ঘটনাও ঘটেছে পাট্টা পাওয়া জমি যা হস্তান্তর করা যায় না কেমন যদিও অন্যকে বিক্রি করে দিয়ে চলে গেছে হলে জমি জমা সংক্রান্ত সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে ফেলে জমি দাতারা টাকা পাবেন সে বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে।
জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেছেন আগামী জুলাই মাসের শেষ পর্যন্ত বালুরঘাট থেকে কামারপাড়া এই অঞ্চলের সমস্ত জমি অধিগ্রহণ করে রেলের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে প্রশাসন। আগামী দূর্গা পূজার মধ্যে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করা হবে বালুরঘাট হিলি রেল প্রকল্পের জন্য। সরকারি নিয়ম মোতাবেক জমি দাতারা সঠিক মূল্য পাবেন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)