Amartya Sen: জমি মিউটেশনের জন্য আবেদন করলেন অমর্ত্য সেন, এমাসেই শুনানি
তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'অর্মত্য সেন বিশ্ববরেণ্য নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। তাঁর অপরাধ, বিজেপির মুখোশটা মাঝে মাঝে খুলে দেন। তাঁর সব থেকে বড় অপরাধ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর মধ্য়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সমস্ত গুণ রয়েছে। সেটা তিনি প্রকাশ্যে বলে ফেলেছেন
প্রসেনজিত্ মালাকার: বৃহস্পতিবারই অমর্ত্য় সেনকে ফের জমি ফেরত দেওয়ার নোটিস দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে জমি মাপজোকের জন্য দু'দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যেই বোলপুর বিএলআরও অফিসে নিজের জমি মিউটেশন করার জন্য আবেদন জানালেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মিউটেশনের জন্য হেয়ারিং হবে বলে খবর। এমনটাই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন-অব্যাহত পারদের খামখেয়ালি ওঠানামা, শনিবার ফের বাড়বে তাপমাত্রা
সম্প্রতি, অমর্ত্য সেনের জমি প্রসঙ্গে বারবার বিতর্ক হয়েছে। এমনকি অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার সেই বিতর্কিত জমির জন্যই মিউটেশন করার আবেদন করলেন অমর্ত্য সেন।
অমর্ত্য সেনের ওই বাড়ির জমি দীর্ঘদিন ধরেই তার বাবার নামে ছিল। এবার এই বিতর্ক এড়াতে নিজের নামে করে মিউটেশন করার জন্য অমর্ত্য সেন আবেদন করেছেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আগামী ২০ তারিখ অমর্ত্য সেনকে বোলপুর BLRO দফতরে স শরীরে হাজির থাকতে হবে। এমনকি তাঁকে সঙ্গে আনতে হবে জমির সমস্ত কাগজপত্র। আর এবার দেখার যে এই মিউটেশন পদ্ধতির পরেও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোন প্রশ্ন তোলা হয় কিনা।
অমর্ত্য সেন এখন শান্তিনিকেতনে। গত ২৪ জানুয়ারি তাঁর বাড়ি 'প্রতীচী'র ঠিকানায় চিঠি পাঠায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে উল্লেখ, 'বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল রেখেছেন অমর্ত্য। সেই জমি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়কে হস্তান্তরের অনুরোধ করা হচ্ছে'। এরপর ২৭ জানুয়ারিও জমি ফেরত চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল নোবেলজয়ীকে। এমনকী, অমর্ত্য সেনের নোবেলপ্রাপ্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
এদিকে শান্তিনিকেতনের বাড়িতে গিয়ে অর্মত্য সেনের হাতে জমির মাপজোক সংক্রান্ত নথি তুলে দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে Z+ ক্যাটেগরির নিরাপত্তার ঘোষণাও। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'অর্মত্য সেন বিশ্ববরেণ্য নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। তাঁর অপরাধ, বিজেপির মুখোশটা মাঝে মাঝে খুলে দেন। তাঁর সব থেকে বড় অপরাধ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর মধ্য়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সমস্ত গুণ রয়েছে। সেটা তিনি প্রকাশ্যে বলে ফেলেছেন। সেজন্যই তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত নথি দিয়ে প্রমাণ করে এসেছেন যে, জমিটি ওরই জমি। বিশ্বভারতীর যিনি উপাচার্য আছেন, তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন'।