Anubrata Mondal: তিহাড়ে বন্দি কেষ্টর চেহারা শুকিয়ে রোগা, সেহগলের ভাঙল হাত!

বিচারক বলেন, ‘আপনি তো অনেকটাই রোগা হয়ে গিয়েছেন দেখছি’। অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘হ্যাঁ সাহেব শরীরের রোগগুলো তো সবই রয়েছে তাই ওষুধ-পত্র সবই চলছে’। এরপরে অনুব্রত মণ্ডল বিচারককে বলেন, ‘শুনছি কেসটা দিল্লি চলে যাবে! আমরা দিল্লি যাব কেন? আমরা বাংলার মানুষ, আমাদের বাড়ি বাংলায়, আমরা দিল্লি যাব কেন?’

Updated By: Aug 10, 2023, 01:43 PM IST
Anubrata Mondal: তিহাড়ে বন্দি কেষ্টর চেহারা শুকিয়ে রোগা, সেহগলের ভাঙল হাত!

বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: অনুব্রত মণ্ডল হয়ে গেছে, একেবারে রোগা। অন্যদিকে সাহগেল হোসেনের ভেঙে গিয়েছে হাত। তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এম আর আই করতে, চিকিৎসা চলছে তার। বৃহস্পতিবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে এই কথা বলেন অনুব্রত মন্ডল।

গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের এর আগে ৩০ জুন ও ১৪ জুলাই নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকায় শুনানি সম্ভব হয়নি। এদিন বৃহস্পতিবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের ভার্চুয়ালী শুনানি হয় গরু পাচারকাণ্ডে।

তার আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ বলেন তাঁরা জামিনের আবেদন করেননি। অনুব্রত মণ্ডল যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার কথা বলছেন তাতে তাঁরা আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবেন। পাশাপাশি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কেস ট্রান্সফারের যে আবেদন করেছেন তার তারা বিরোধিতা করবেন।

এদিন ভার্চুয়াল শুনানিতে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যে কথোপকথন হয়েছে সেখানে সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অনুব্রত মণ্ডলকে প্রশ্ন করেন সায়গেল কোথায়? সেই উত্তরে অনুব্রত মণ্ডল বলেন তার হাত ভেঙে গিয়েছে, এম আর আই করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।।

বিচারক বলেন, ‘আপনি তো অনেকটাই রোগা হয়ে গিয়েছেন দেখছি’। অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘হ্যাঁ সাহেব শরীরের রোগগুলো তো সবই রয়েছে তাই ওষুধ-পত্র সবই চলছে’।

এরপরে অনুব্রত মণ্ডল বিচারককে বলেন, ‘শুনছি কেসটা দিল্লি চলে যাবে! আমরা দিল্লি যাব কেন? আমরা বাংলার মানুষ, আমাদের বাড়ি বাংলায়, আমরা দিল্লি যাব কেন?’

আরও পড়ুন: Malbazar: অন্তঃসত্ত্বা হাতিকে পিষে দিয়ে চলে গেল ট্রেন! ঘটনাস্থলেই মৃত্যু...

বিচারক বলেন, ‘দিল্লির কোর্ট বলেছে এখন আপনাকে রিমুভ করা যাবে না, তাই এখন ওখানেই থাকতে হবে’।

বিচারক আরও বলেন, ‘আর কেস ট্রান্সফারের সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। ১৯ তারিখ তার শুনানি রয়েছে, আপনার উকিলকে বলবেন প্রেয়ার করতে, আমি দেখব। কিন্তু দেশের আইন যদি বাধ্য করে কেস ট্রান্সফারের বিষয়টি, তাহলে সেই আইন আমাকে মানতে হবে’।

উত্তরে অনুব্রত বলেন, ‘তাহলে আমি হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যাব। সেই দরজা তো আমাদের জন্য খোলা আছে’। এতে বিচারক জানান, ‘হ্যাঁ নিশ্চয়ই খোলা আছে। আপনারা সেখানেও আবেদন জানাতে পারেন’।

আরও পড়ুন: Katwa Child Death: ঠাকুমার হাত ধরে বাড়ি ফিরছিল, বেপরোয়া মোটর ভ্যানের ধাক্কায় দু'টুকরো হয়ে গেল শিশুর দেহ

এরপরই অনুব্রত মণ্ডল আবেদন করেন একটা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার জন্য। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন যে তিনি কর্মচারীদের বোনাস দিতে চান এবং কর্মচারীদের বেতন দিতে চান যেটা দেওয়া যাচ্ছে না।

এই বিষয়ে বিচারক বলেন, ‘আপনার উকিল তো এই বিষয়ে কোনও আবেদন করেননি, উকিলকে প্রেয়ার করতে বলুন। তাহলেই আমি কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারব’।

তখন অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘আমার উকিলকে লাইনটা দিন আমি বলে দিচ্ছি’। এতে বিচারক জানান, ‘আপনার মেসেজটা আমি আপনার উকিলকে বলে দিলাম আপনার  আইনজীবী প্রেয়ার করুক আমি দেখব’।

বিচারক জানান, ‘আপনার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য হল ১২ সেপ্টেম্বর’।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

 

.