Katwa Child Death: ঠাকুমার হাত ধরে বাড়ি ফিরছিল, বেপরোয়া মোটর ভ্যানের ধাক্কায় দু'টুকরো হয়ে গেল শিশুর দেহ
Katwa Child Death: আচমকা ঘটে যাওয়া ওই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন চন্দনের ঠাকুমা ও পিসি। তারা চন্দনকে নিয়ে দৌড়ন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় শিশুটিকে।
সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: দ্রুত গতির মোটর ভ্যানের চাকায় দু'টুকরো হয়ে গেল ৫ বছরের শিশু। ঠাকুমা ও পিসির চোখের সামনে মুহূর্তে ঘটে গেল ভয়ংকর কাণ্ড। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথই মৃত্যু হল শিশুটির। বুধবার ওই ঘটনা ঘটেছে পূর্ববর্ধমানের কাটোয়ার অগ্রদ্বীপে।
আরও পড়ুন-আগামী ৪-৫ দিন দক্ষিণবঙ্গে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা, কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া
বুধবার বিকেলে ঠাকুমা ও পিসির সঙ্গে এলাকারই একটি জায়গা থেকে নিমন্ত্রণ বাড়ি থেকে ফিরছিল চন্দন হালদার(৫)। সেই সময় অগ্রদ্বীপ ফেরিঘাটের দিকে থেকে নদিয়ার দিকে যাচ্ছিল খড়বোঝাই একটি মোটর ভ্যান। প্রবল গতিতে সামনে থেকে ধাক্কা মারে চন্দনকে। প্রবল ধাক্কায় চন্দন রাস্তায় পড়ে গেলেও মোটর ভ্য়ানের পেছনের চাকায় আটকে যায় তার শরীর। সেই অবস্থায় তাকে বেশ কিছুটা রাস্তা টেনে নিয়ে যায় ভ্যানটি। তাতেই কোমর থেকে দু'টুকরো হয়ে যায় শিশুটির শরীর। আচমকা ঘটে যাওয়া ওই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন চন্দনের ঠাকুমা ও পিসি। তারা চন্দনকে নিয়ে দৌড়ন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় শিশুটিকে।
শিশুটির দাদু অর্জুন হালদার বলেন, ঠাকুমার হাত ধরে হাঁটছিল। আচমকা ওই ভ্যানটা এসে ধাক্কা মেরে চলে গেল। সঙ্গে সঙ্গেই কোমর থেকে দেহটা দুফাঁক হয়ে গেল। শিশুর পিসি রাখী হাজরা বলেন, আমরা ভোজ খেয়ে বাড়ি ফিরছিলাম, এমনসময় একটি খড়বোঝাই মোটরভ্যান চন্দনকে ধাক্কা মেরে দু'টুকরো করে দিয়ে পালিয়ে যায়।
আচমকা ঘটে যাওয়া ওই ঘটনায় এলাকায় হইচই পড়ে যায়। গ্রামবাসীরা ঘাতক ঘড়বোঝাই ভ্যানটিকে আটক করে পুলিসের হাতে তুলে দেয়। তবে চালককে ধরা যায়নি। চালকের খোঁজে তাল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
কয়েকদিন আগেই বেহালার বড়িশা হাইস্কুলের সামনে এক পড়ুয়াকে পিষে দিয়ে চলে যায় একটি লরি। স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল নবপল্লী রবীন্দ্রনাথ টেগোর রোডের বাসিন্দা সৌরনীল। ওইদিন স্কুলে পরীক্ষা ছিল। স্কুলে আসার সময়ই সকাল ৭টা ১০ নাগাদ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্কুলের সামনেই ছোট্ট সৌরনীলকে পিষে দিয়ে যায় দ্রুতগতির একটি লরি। এই ঘটনায় স্কুলের এক শিক্ষক কাঁদতে কাঁদতে অভিযোগ করেছেন, 'দৌড়ে ছুটে গিয়ে দেখি বাচ্চাটি স্পট ডেড। আমরা-ই উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পাঠাই। মাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসে টিচার্স রুমে বসাই। বার বার পুলিসকে বলা সত্ত্বেও স্কুলের সামনে কোনও ট্রাফিক দেয়নি! সকালবেলা স্কুলে ঢোকা যায় না এমন অবস্থা থাকে!