Dutttapukur Blast: দত্তপুকুরে বাজি কারখানার বিস্ফোরণে উড়ল একাধিক বাড়ির ছাদ, নিহত কমপক্ষে ৭
Dutttapukur Blast: হাসপাতাল সূত্রে প্রাথমিকভাবে খবর বিস্ফোরণের পর বারাসত হাসপাতালে আনা হয় মোট ১১ জনকে। বাকীদের দেহ ভয়াবহ পুড়ে গিয়েছে। তাদের চিকিত্সা শুরু হয়েছে। এদের সবারই অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্য়া আরও বাড়তে পারে
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য ও পিয়ালি মিত্র: দত্তপুকুরের বাজি কারখানার বিস্ফোরণে তছনছ একটি গোটা কংক্রিটের বাড়ি। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে পাশের বাড়িগুলিরও বেশকিছু অংশ ভেঙে পড়ছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ওই বাজি কারখানার বিস্ফোরণে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্তায় বারাসাত হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে ৬ জনকে মৃত অবস্থায় আনা হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খব। পাশাপাশি ১ জনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। মৃতদের মধ্যে একটি ৮ বছরের বালকও রয়েছে।
আরও পড়ুন- ভারতে আয়োজিত জি ২০ সম্মেলনে কীসের ভয়ে যোগ দেবেন না পুতিন?
হাসপাতাল সূত্রে প্রাথমিকভাবে খবর বিস্ফোরণের পর বারাসত হাসপাতালে আনা হয় মোট ১১ জনকে। বাকীদের দেহ ভয়াবহ পুড়ে গিয়েছে। তাদের চিকিত্সা শুরু হয়েছে। এদের সবারই অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্য়া আরও বাড়তে পারে।
দত্তপুকুরের ইছাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোচপুল পশ্চিমপাড়া এলাকায় অবস্থিত বাজি কারখানাটি। এই বাজি কারখানায় মুর্শিদাবাদ-সহ বিভিন্ন এলাকার বহু শ্রমিক কাজ করেন। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, বিকট বিস্ফোরণের কেঁপে ওঠে এলাকা। আওয়াজ পেয়ে যখন তাঁরা সেখানে পৌঁছন, দেখতে পান, দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। সূত্রের খবর, প্রথমে বিস্ফোরণ হয়। তারপর তা থেকে আগুন লাগে।
ঘটনাস্থলের চারদিকে ছড়িয়েছিটিয়ে ধ্বংসস্তূপ। একটা বড় এলাকায় ধ্বংসের ছবি। কোথাও বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়েছে। কোথাও বাড়ির সামনের অংশ ভেঙে পড়েছে। সামসুল আলম নামে একজনের বাড়ি ভাড়া নিয়ে বাজি কারখানা চালাচ্ছিলেন কেরামত আলি নামে এক ব্যক্তি। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে তার পাশের বাড়িতে বিস্ফোরণের তীব্রতায় একেবারে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। অন্য একটি বাড়ির নীচের অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ফলে বোঝাই য়ায় কী পরিমাণ বিস্ফোরক ওই কারখানায় মজুত করে রাখা হয়েছিল। পে লোডার নিয়ে এসে ইতিমধ্যেই ধ্বংস্স্তূপ সরানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। দেখার চেষ্টা হচ্ছে ধ্বংস্তূপের নীচে কোনও মৃতদেহ পড়ে রয়েছে কিনা।
স্থানীয় মানুষজন বলছেন, ওই চাপা বস্তির মধ্যে ওই কারখানায় তৈরি হতো আলু বোমা। তার মলমশলাতেই আজ বিস্ফোরণ ঘটে। পাশাপাশি ওই বাড়িতে বাজি মজুত করে রাখা হতো। কেরামত ও সামসুল একসঙ্গে এখানে ব্যবসা করতো। পুলিসকে বলেও কোনও কাজ হয়নি। গ্রামের অনেক বাড়িতেই বাজি তৈরি হয়। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে তার পাশাপাশি অন্তত ৫টি বাড়ি ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। কারখানাটিই বেআইনি। পুলিস রেইড করেছিল। তারপর চুপচাপ। বিস্ফোরণে কেরামত আলি ও তার ছেলে মারা গিয়েছে। মুর্শিদাবারের শ্রমিকরা এখানে কাজ করত। বাজি তৈরি হতো দোতলা বাড়িটির নীচের তলায়।
উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত হন ১১ জন। বিস্ফোরণের দাপটে মৃতদেহ পাশের পুকুরে উড়ে গিয়ে পড়ে। বাজি কারখানার মালিক পালিয়ে যান ওড়িশার ভুবনেশ্বরে। সেখানেই হাসপাতালে তার সন্ধান পায় পুলিস। সেখানেই অবশ্য তার মৃত্যু হয়।