লক্ষ্য একুশ, সামাজিক সুরক্ষায় দরাজহস্ত ‘কল্পতরু’ মমতা

কর্মসংস্থান নিয়ে জেরবার দিল্লি সরকার। অমিত মিত্র রাজ্যে আরও কাজের সুযোগ তৈরির চেষ্টা করেছেন।  বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য, কর্মসাথী প্রকল্পে সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে দেওয়া হবে ঋণ। দু-লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণে ভর্তুকি দেবে সরকার

Reported By: সুতপা সেন | Updated By: Feb 10, 2020, 06:51 PM IST
লক্ষ্য একুশ, সামাজিক সুরক্ষায় দরাজহস্ত ‘কল্পতরু’ মমতা
নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: সামনেই পুর-ভোট। বছর ঘুরলেই, বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে, শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটে সামাজিক ক্ষেত্রে বাড়তি জোর দিলেন রাজ্যে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য এতদিন সামাজিক সুরক্ষা যোজনা সরকার মাসে ৩০ টাকা দিত। শ্রমিকদের দিতে হত ২৫ টাকা। অমিত মিত্রর ঘোষণা, বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প। পিএফে, সরকারই মাসে ৫৫ টাকা দেবে। দেড় কোটি অসংগঠিত শ্রমিক পরিবারকে কোনও টাকা দিতে হবে না। বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা।

এখন কোনও পেনশন পান না, তপশিলি জাতির এমন ষাটোর্ধ্ব, ২১ লক্ষ মানুষের জন্য মাসে ১ হাজার টাকা বার্ধক্য ভাতা দেবে রাজ্য সরকার। বরাদ্দ ২,৫০০ কোটি টাকা।   কোনও পেনশন নেই, তপশিলি উপজাতির এমন ষাটোর্ধ্ব ৪ লক্ষ মানুষের জন্য মাসে ১ হাজার টাকা বার্ধক্য ভাতা দেওয়া হবে। খরচ বছরে ৫০০ কোটি টাকা। হাসির আলো প্রকল্পে, ৩৫ লক্ষ গরিব পরিবারকে, বিনামূল্যে ৩ মাসে ৭৫ ইউনিট বিদ্যুত্‍ দেওয়া হবে। এজন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন অর্থমন্ত্রী। চা বাগানের গৃহহীন শ্রমিকদের জন্য বাড়ি তৈরিতে চা-সুন্দরী প্রকল্পে, ৫০০ কোটি টাকা আগামী ১ বছরে খরচ করবে সরকার।

তপশিলি জাতির পেনশন ২৫০০ কোটি টাকা
তপশিলি উপজাতি ৫০০ কোটি টাকা
হাসির আলো প্রকল্প (বিদ্যুত) ২০০ কোটি টাকা
চা-সুন্দরী প্রকল্প ৫০০ কোটি টাকা
কর্মসাথী প্রকল্প ৫০০ কোটি টাকা
সংখ্যালঘু উন্নয়ন ৩৬০০ কোটি টাকা

ঝাড়গ্রামে বিরসা মুণ্ডার নামে, তপশিলি অধ্যুষিত এলাকায় আম্বেদকরের নামে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওবিসিদের জন্য আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কথা বলা হয়েছে। খরচ হবে ৫০ কোটি টাকা।  লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহল-সহ বিভিন্ন তপশিলি জাতি-উপজাতি অধ্যুষিত লোকসভা আসনে তৃণমূলের ফল ভাল হয়নি। বাজেটে সামাজিক ক্ষেত্রে তাদের জন্য বরাদ্দ বাড়ল।

আরও পড়ুন- আইনশৃঙ্খলা-সিএএ নিয়ে বিজ্ঞাপন, রাজ্যপালের কাছে গুরুতর অভিযোগ বিজেপির

কর্মসংস্থান নিয়ে জেরবার দিল্লি সরকার। অমিত মিত্র রাজ্যে আরও কাজের সুযোগ তৈরির চেষ্টা করেছেন।  বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য, কর্মসাথী প্রকল্পে সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে দেওয়া হবে ঋণ। দু-লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণে ভর্তুকি দেবে সরকার। বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য উত্‍সাহ প্রকল্প, বাংলাশ্রীতে ১০০ কোটি টাকা দিচ্ছে রাজ্য। ৩ বছরে ২০০ কোটি টাকায় ১০০টি নতুন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পতালুক তৈরি হবে। কলকাতা, শিলিগুড়ি, দুর্গাপুরে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হবে। বরাদ্দ ১৫ কোটি টাকা। 

বাজেট বক্তৃতায় অমিত মিত্রর দাবি, ৮ বছরে বাংলায় ২২ হাজার কোটি টাকা বিদেশি লগ্নি এসেছে। শিল্পে লগ্নির জন্য দেওয়া হয়েছে আড়াই লক্ষ কোটি টাকা ঋণ। শিল্প নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। চলতি অর্থবর্ষের শেষ তারিখের আগে, বকেয়া পরোক্ষ করের ২৫% দিয়ে বিবাদ নিষ্পত্তি করা যাবে বলে ঘোষণা করেছেন অমিত মিত্র। আগামী দুটি অর্থবর্ষে চা শিল্পকে দিতে হবে না কোনও কৃষিকর। বকেয়া স্ট্যাম্প ডিউটির ক্ষেত্রে সুদ মকুব ও জমি একত্রীকরণের জন্য স্ট্যাম্প ডিউটি কমানোর ঘোষণাও করেছেন অর্থমন্ত্রী।

.