Birbhum: বীরভূমে জোর ধাক্কা তৃণমূলে, শুভেন্দুর সভায় বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সহ-সভাপতি
কেন দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত? বিপ্লব ওঝা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এতদিন তৃণমূল করেছি। আজ আমি এলাকার মানুষজনকে জানাই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সব সম্পর্কে ত্যাগ করছি। তার কারণও রয়েছে
প্রসেনজিত্ মালাকার: অনুব্রত মণ্ডল জেলে যাওয়ার পর বীরভূমে দল ভাঙল তৃণমূল কংগ্রেসের। মঙ্গলবার দলের সব পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন জেল তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিপ্লব ওঝা। এদিনই ছিল নলহাটিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভা। জল্পনা ছিল সেই সভাতেই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বিপ্লব। সেই কথাই সত্যি হল। নলহাটিতে খোদ শুভেন্দু মঞ্চ থেকে বিপ্লবের বিজেপি যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন-মাথায় পড়ল ক্যামেরা! বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন অ্যানরিচ নোকিয়া, ভিডিয়ো ভাইরাল
নলহাটির সভায় এদিন তাঁর বক্তব্যের একেবারে শেষ দিকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এলাকার তাবড় নেতা, জেলা পরিষদের সদস্য, জেলা তৃণণূলের সহ-সভাপতি বিপ্লব ওঝা আমাদের সঙ্গে আসছেন। দল করতে গিয়ে ওঁরও কিছু ভুলত্রুটি থাকতে পারে। কিন্তু তৃণমূলের মতো দলে আর থাকতে পারছিলেন না। তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দেবেন লকেট চট্টোপাধ্য়ায়।
উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হলেও এতদিন পর্যন্ত দলের কোনও বড়মাপের নেতা দল ছাড়েননি। এমনকি দলে কোনও বড়সড় গোলমালের কথাও শোনা যায়নি। এবার কোনও গুঞ্জন নয়, আঝই দল ছেড়ে একেবারে বিজেপিতে যোগ দিলেন বিপ্লব ওঝা।
২০০৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বিপ্লব ওঝা। সেইসময়কার কংগ্রেসের জনপ্রিয় নেতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ঘাসফুলের হাত শক্ত হয়। সেইসময় বিপ্লব ছিলেন নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান। ওই পদে ছিলেন ২০১২ সাল পর্যন্ত। একসময় বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থীও হয়েছিলেন। দলের তৃণমূল পর্যায়েও দখল রয়েছে বিপ্লবের। ফলে তার দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত দলের পক্ষে বেশ ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কেন দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত? বিপ্লব ওঝা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এতদিন তৃণমূল করেছি। আজ আমি এলাকার মানুষজনকে জানাই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সব সম্পর্কে ত্যাগ করছি। তার কারণও রয়েছে। ২০০৯ সালে নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলাম। সেইসময় কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসেছিলাম। পরবর্তীতে এলাকার পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলো দখল করার চেষ্টা করি। তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম। দল আমাকে সম্মানও দিয়েছে। ২০১৩ সালে যে উপনির্বাচন হয় সেখানে আমাকে প্রার্থী করা হয়। সেই ভোটে আমি হেরে যাই। এরপরে আমি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি হই। এর পরেও আমি লক্ষ্য করে দেখছি, গত একবছর তৃণমূলের কাছে আমার কোনও মূল্য নেই। দলের মিটিং, মিছিলে আমাকে ডাকা হয় না। আমার অনুগামীরা এটা লক্ষ্য রাখছিল। স্বভাবতই আমি তার কোনও উত্তর দিতে পারছিলাম না। তাই দল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।