Birbhum News:বীরভূম তৃণমূলের বড় পদক্ষেপ! জেলা পরিষদে প্রার্থী অনুব্রত বিরোধী কাজল, বাদ কেষ্টঘনিষ্ঠ কেরিম
Birbhum News:কাজল সেখ বলেন, অনুব্রত মণ্ডল আমার রাজনৈতিক গুরু। উনি আমার গুরু। বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের যে টিমটি রয়েছে আমি তার শিষ্য। দলের এক অনুগত সৈনিক। দল মনে করেছে, আমাকে নমিনেশন দিয়েছে
প্রসেনজিত্ মালাকার: গোরু পাচারকাণ্ডে জড়িয়ে তিহাড় জেলে অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারির স্থান হয়েছে একই জেলে। এরকম এক পরিস্থিতিতে বীরভূমে মাথাচাড়া দিচ্ছিল অনুব্রত বিরোধী গোষ্ঠী। বীরভূম তৃণমূলকে সামাল দেওয়ার জন্য দলের কোর কমিটি গড়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কোর কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন অনুব্রত বিরোধী হিসেবে পরিচিত কাজল সেখ। তিনি এবার তৃণমূলের তরফে জেলা পরিষদের প্রার্থী। বাদ গেলেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কেরিম খান।
আরও পড়ুন-আবাসনে পরা যাবে না লুঙ্গি-নাইটি! পোশাক নিয়ে 'বেনজির' বার্তা কর্তৃপক্ষের
বুধবার বোলপুর মহকুমা অফিসে মনোনয় জমা দিলেন কাজল সেখ। নানুরে একসময় প্রবল প্রতাপশালী নেতা ছিলেন কাজল সেখ। কিন্তু অনুব্রতর আমলে তিনি পার্টির কোনও বড় দায়িত্বে ছিলেন না। অনুব্রত জেলে যেতেই তিনি আবার ফের খবরে। কাজল সেখ দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় উঠে আসতেই জেলা পরিষদের আসন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে নানুরের দাপুটে নেতা কেরিম খানকে। অন্যদিকে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতা কেরিম খান পরপর দুবার জেলা পরিষদে জিতে পূর্ত কর্মাধক্ষ্য ছিলেন। এবার তিনি নেই প্রার্থী তালিকায়। এনিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। কেরিমকে প্রার্থী না করায় নানুরে দলের অন্দরে কিছুটা হলেও তিক্ততা সৃষ্টি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে এবারেই প্রথম কোন নির্বাচনে দাঁড়ালেন নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল সেখ। এছাড়াও আজ বোলপুর মহকুমা অফিসে মনোনয়ন জমা দিলেন বীরভূমের সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী। তিনি প্রাক্তন জেলা পরিষদের সভাধিপতিও। আজ মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর কাজল সেখ বলেন তিনি অনুব্রত অনুগামী। তিনি অনুব্রতর পক্ষে কথা বলেও অনুব্রত-কাজল বিবাদ দীর্ঘদিন ধরেই জেলার রাজনীতিতে স্পষ্ট। কেরিম খানকে প্রার্থী না করা, কাজল সেখকে প্রার্থী করা জেলার রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এতে বীরভূমে রাজনৈতিক হাওয়া বদল হবে কিনা, হিংসা ছড়াবে কিনা তা নিয়েও সন্ধিহান বিভিন্ন মহল।
কাজল সেখ বলেন, অনুব্রত মণ্ডল আমার রাজনৈতিক গুরু। উনি আমার গুরু। বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের যে টিমটি রয়েছে আমি তার শিষ্য। দলের এক অনুগত সৈনিক। দল মনে করেছে, আমাকে নমিনেশন দিয়েছে। দলের স্বার্থে জীবন পর্যন্ত দিতে পারি।