পাখি মেরে কখনও চলছে মচ্ছব, কখনও হচ্ছে পাচার! অধরা অভিযুক্তরা
মালবাজার মহকুমার আন্ধাঝোড়া এলাকায় কিছুদিন আগে ঘাঁটি গেঁতেছে প্রায় ৭০-৮০ জনের যাযাবরের দল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সন্দেহ হচ্ছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। প্রমাণ মিলছে। কিন্তু হাতেনাতে ধরা যাচ্ছে না তাদের। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের আওতাভুক্ত প্রচুর পাখি শিকারের অভিযোগ উঠছে মালবাজারের একটি যাযাবর দলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মানাবাড়ি চাবাগান এলাকায় গাছে জাল লাগিয়ে শিকার করছে বহু পাখি।
আরও পড়ুন: দিওয়ালির রাতে ব্যাগ থেকে বার করলেন তুবড়ি, আচমকাই নাক দিয়ে বেরোল রক্ত, তারপর...
মালবাজার মহকুমার আন্ধাঝোড়া এলাকায় কিছুদিন আগে ঘাঁটি গেঁতেছে প্রায় ৭০-৮০ জনের যাযাবরের দল। বুধবার রাতে মানাবাড়ি চা বাগানের ৯ নম্বর সেকশনের বিভিন্ন পরিবেশপ্রেমী সংগঠনে সদস্যরা পাখি শিকারিদের হাতে নাতে ধরতে অভিযান চালান। নেতৃত্বে ছিল কালিম্পং বন উন্নয়ন নিগমের নোয়াম রেঞ্জ। বৃহস্পতিবার ভোর হওয়ার আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিবেশ প্রেমীরা দুজনকে একটি গাছের ওপর বিশাল ফাঁসজাল বিছোতে দেখেন।
আরও পড়ুন: কাপে চা ঢালার সময়ই দোকানি বলেছিলেন 'সরে দাঁড়ান দাদা', দুই ভাই তখন গল্পে মত্ত, পিছন ঘুরতেই সব শেষ!
তাড়া করতেই দুজন চা বাগানের ভেতর দিয়ে পালিয়ে যায় বলে দাবি পাখিপ্রেমীদের। ফাঁসজালটিকে খুলে ফেলা হয়। পরে তাদের খোঁজে ওদলাবাড়ি বাজারে যাযাবরদের অস্থায়ী তাঁবুতে গিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালেও যাযাবরদের তাঁবুতে গিয়ে সাবধান করে বিভিন্ন পরিবেশ প্রেমী সংগঠন। এই যাযাবরদের একটি দলকে দুটো বড়ো ব্যাগ ভর্তি করে পাখি পাচার করতে স্থানীয় লোকজন দেখেছেন বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা এবিষয়ে বনদফতরের নোয়াম রেঞ্জে খবরও দেন। শিকার হওয়া পাখিগুলো শিডিউল- ৪ ভুক্ত বলে বন দফতর সূত্রে জানা গেছে।
কীভাবে চলছে শিকার?
রাতেই গাছে উঠে ফাঁসজাল লাগিয়ে রাখছে শিকারিরা। দিনের আলো ফুটতেই পাখিরা যখন ওড়ার চেষ্টা করছে, তখন তাদের পা জালে আটকে যাচ্ছে। এরপর সেই পাখিগুলিকে মেরে ফেলা হয়। কিছু পাখি মেরে খেয়ে ফেলা হয় আর কিছু পাখি পাচার করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন বনকর্মীরা। টহল দিচ্ছেন বন কর্মীরা ও বিভিন্ন পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্যরা।