দাঁতনে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে বিজেপি-তৃণমূল তরজা, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিস

শুক্রবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের জেনকাপুর সন্তোষপুর গ্রামে উদ্ধার হয় বর্ষা হাঁসদার ঝুলন্ত দেহ।

Updated By: Nov 15, 2019, 07:27 PM IST
দাঁতনে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে বিজেপি-তৃণমূল তরজা, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিস

নিজস্ব প্রতিবেদন: খড়গপুরে উপনির্বাচন। তার আগে রাজনৈতিক খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন। গাছে উদ্ধার হয় বর্ষা হাঁসদার ঝুলন্ত দেহ। দিনভর কর্মসূচি সেরে বাড়ি ফেরার পরই অপহরণ, খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ নস্যাত্ করে তৃণমূলের দাবি, পারিবারিক কলহে মৃত্যু হয়েছে। পুলিসের দাবি, তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষে একাধিক বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল শাসক দল। বর্ষা হাঁসদার নাম ছিল তাতে। 

শুক্রবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের জেনকাপুর সন্তোষপুর গ্রামে উদ্ধার হয় বর্ষা হাঁসদার ঝুলন্ত দেহ। গত কয়েক দিন ধরে দাঁতনে রাজনৈতিক সংঘর্ষ চলছিল। বর্ষার  পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার দিনভর অবরোধ কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিলেন বিজেপির এসটি সেলের সক্রিয় কর্মী। রাতে বাড়ি ফিরে খেতে বসার আগে বাইরে বের হন। তারপর আর ফেরেননি তিনি। বিজেপি নেতা গৌরীশঙ্কর অধিকারির দাবি, বিজেপিকে রুখতে বর্ষা হাঁসদাকে খুন করেছে তৃণমূল। বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ টুইটারে লিখেছেন, লজ্জা হওয়া উচিত তৃণমূলের। দাঁতনের বিজেপি কর্মী বর্ষা হাঁসদাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। 

যদিও, অভিযোগ উড়িয়ে পারিবারিক বিবাদকেই দায়ী করেছে তৃণমূল। শাসক দলের দাবি, পারিবারিক কলহের জেরে মৃত্যু নিয়ে রাজনীতির রং চড়াচ্ছে বিজেপি। 

মঙ্গলবার বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের সংঘর্ষ বেঁধেছিল দাঁতনে। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় বর্ষা হাঁসদার বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। জেলা পুলিস সুপার দীনেশ কুমারের বক্তব্য, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব। পুলিস সবদিক খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করছে।     

 দেহ নিয়ে এদিন অবরোধ করে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। দোষীদের শাস্তির দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করা হয় জেনকাপুর মোহনপুর রাস্তা। কলকাতায় পোড়ানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা।  

আরও পড়ুন- বামপন্থীদের কবেই বা জাতীয় পতাকার সম্মান নিয়ে চিন্তা ছিল! খোঁচা তথাগতর

.