ভয়ঙ্কর তিস্তায় নৌকাডুবি, টানা ৩ ঘন্টা জলের সঙ্গে যুদ্ধ করে নিজেদের জীবন 'উদ্ধার' করলেন ৭ কৃষক

নৌকা তলিয়ে যেতেই ঘাবড়ে না গিয়ে স্রোতের বিরুদ্ধে ঘন্টাখানেক সাঁতার কেটে  তিস্তার চড় সংলগ্ন মৌয়ামাড়ি এলাকায় তাঁরা ওঠেন।

Edited By: অধীর রায় | Updated By: Jul 21, 2020, 12:39 PM IST
ভয়ঙ্কর তিস্তায় নৌকাডুবি, টানা ৩ ঘন্টা জলের সঙ্গে যুদ্ধ করে নিজেদের জীবন 'উদ্ধার' করলেন ৭ কৃষক
নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতবেদন: কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে নৌকাডুবি হয়ে তিস্তার জলে তলিয়ে গেলেন ৭ জন। ঘটনাটি ঘটেছে মাল মহকুমার চেংমারো গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙাপাড়া সংলগ্ন তিস্তা নদীতে। পুলিস সুত্রে জানা যায়,  নিখোঁজ ৭ জনই  চেংমারো গ্রাম পঞ্চায়েতের দাসপাড়ার বাসিন্দা ।

তিস্তা নদীর চরে তাদের জমি আছে। সেই জমিতে চাষ করে সন্ধেয় সাড়ে ৭টা নাগাদ বাড়ি ফেরার সময় ডাঙাপাড়ার কিছু দূরে তিস্তা নদীতে তাঁদের নৌকা উল্টে যায়। বর্ষায় তিস্তার খরোস্রোতে ভেসে যায় ওই ৭ ব্যক্তি । তিস্তার পারে বহু লোকের বাস । নৌকা যখন উল্টে যায় তখন ওই ব্যক্তিদের চিতকারে তিস্তা বাঁধের ওপর প্রচুর মানুষ একত্রিত হন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে হাজির হয় বিপর্যয় মোকাবিলার উদ্ধারকারী দলও।

নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে তল্লাশি শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাতেই ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব, স্থানীয় বিধায়ক বুলুচিক বড়াই-সহ জেলার পুলিস সুপার এবং বিশাল পুলিস বাহিনী । এই তল্লাশি অভিযান চলাকালীন রাত ১০.৩০ নাগাদ পুলিসের কাছে খবর আসে তিস্তাতে তলিয়ে যাওয়া সাতজনই বেঁচে আছেন। এরা প্রত্যেকেই সাঁতার জানতেন বলে জানা যায়। নৌকা তলিয়ে যেতেই ঘাবড়ে না গিয়ে স্রোতের বিরুদ্ধে ঘন্টাখানেক সাঁতার কেটে  তিস্তার চড় সংলগ্ন মৌয়ামাড়ি এলাকায় তাঁরা ওঠেন। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে তিস্তার চর এলাকায় একটি বাড়িতে আশ্রয় দেয় ।

আরও পড়ুন: রাজ্যে একদিনে করোনা সংক্রমিত ২,২৮২ জন; আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪৪,৭৬৯
 
সাতজনই জীবিত এই খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন মন্ত্রী গৌতম দেব-সহ পুলিসের আধিকারিকরা। ঘটনা প্রসঙ্গে গৌতম দেব বলেন , "নৌকাডুবির খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এলাকায় এসে  জানতে পারি সাত জন কৃষকই জীবিত আছেন । তারা সকলেই মৌয়ামাড়ি এলাকায় একটি বাড়িতে রয়েছেন। আমি স্থানীয় প্রশাসনকে বলেছি ওদের শারীরিক পরীক্ষা করে বাড়ি পৌঁছে দিতে। মানুষগুলো বেঁচে গেছে এটাই বড় স্বস্তির খবর। পাশাপাশি এইসব কৃষকেরা যাতে লাইফ জ্যাকেট ব্যাবহার করে সেইদিকটাও প্রশাসনকে নজর দিতে বলেছি ।" বর্ষায়  তিস্তার গ্রাস থেকে যেভাবে দীপক দাস, সূর্য মন্ডল, পবন দাসরা বেঁচে গিয়েছেন তাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন দাসপাড়ার বাসিন্দারও ।

.