By-Poll: আজ ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচন, ২-২ ফল কি বদলাবে? জানাবে জনতা
গত বিধানসভা ভোটের নিরিখে ফল ২-২। এটাই ৪-০ করার আশা তৃণমূলের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শনিবার রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এগুলি হল- উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ, নদিয়ার শান্তিপুর, কোচবিহারের দিনহাটা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা। গত বিধানসভা ভোটে দিনহাটা ও শান্তিপুরে জিতেছিলেন বিজেপির দুই সাংসদ প্রার্থী। তবে সাংসদ পদ রাখতে ইস্তফা দেন তাঁরা। বিধায়কের মৃত্যুর কারণে ভোটগ্রহণ হচ্ছে খড়দহ ও গোসাবায়। গত বিধানসভা ভোটের নিরিখে ফল ২-২। এটাই ৪-০ করার আশা তৃণমূলের।
চার বিধানসভা কেন্দ্রে সুষ্ঠু, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করানো নির্বাচন কমিশনের কাছে চ্যালেঞ্জ। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। দিনহাটায় বুথের সংখ্যা ৪১৭। মোতায়েন থাকবে ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। গোসাবায় বুথের সংখ্যা ৩৩০। মোতায়েন থাকবে ২৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শান্তিপুরে বুথের সংখ্যা ৩৫৫। বাহিনী মোতায়েন ২২ কোম্পানি। ২৩৫টি বুথ রয়েছে খড়দহে। থাকবে ২০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী।
দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। তবে সাংসদ পদ ধরে রাখতে আসনটি ছেড়ে দেন তিনি। এই কেন্দ্রে এবার বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল। উদয়ন গুহকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বামফ্রন্ট প্রার্থী আব্দুর রউফ।
শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছিল বিজেপি। তবে এই কেন্দ্রেও সাংসদ থাকতে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন জয়ন্ত সরকার। নিরঞ্জন বিশ্বাসকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী। এখানে বাম-কংগ্রেস জোট হয়নি। বামেরা সৌমেন মাহাতোকে প্রার্থী করেছে। রাজু পাল কংগ্রেস প্রার্থী।
খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কাজল সিনহা। ফল ঘোষণার আগেই কোভিডে ভুগে তাঁর মৃত্যু হয়। নেত্রীর জন্য ভবানীপুর কেন্দ্রের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে খড়দহে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বিজেপি টিকিট দিয়েছে জয় সাহাকে। বামেদের প্রার্থী দেবজ্যোতি দাস।
গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছিলেন তৃণমূলের জয়ন্ত নস্কর। করোনার পর নানা শারীরিক জটিলতায় মৃত্যু হয় তাঁর। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে সুব্রত মণ্ডলকে। বামেদের প্রার্থী অনিলচন্দ্র মণ্ডল। পলাশ রানাকে প্রার্থী করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন-বেঙ্গল যা পারে গোয়া পারে না কেন? কেন এত বেকার? কোথায় সরকারি নীতি? প্রশ্ন Mamata-র