Dhupguri Bypoll: ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে আজ ইজ্জতের লড়াই বিজেপির, জিততে মরিয়া শাসকদলও
Dhupguri Bypoll: ধূপগুড়ির উপনির্বাচনের জন্য এলাহি নিরাপত্তার আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন। মোতায়েন করা হচ্ছে ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি বুথেই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে
প্রদ্যুত্ দাস: বিজেপির জেতা আসন। জয়ী প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় মঙ্গলবার ৫ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন হতে চলেছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি বিধানসভায়। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে শাসকদলকে হার মানতে হয়েছিল জোট প্রার্থীর কাছে। বিরোধীদের দাবি ছিল সাগরদিঘিই হবে তৃণমূলকে হারানোর মডেল। সেদিক থেকে দেখতে গেলে মঙ্গলবারের উপনির্বাচন তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে ইজ্জতের লড়াই। অন্যদিকে, জেতা আসন ধরে রাখার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।
আরও পড়ুন-ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি; কত দিন দক্ষিণবঙ্গে থাকবে বৃষ্টির দাপট, জানাল হাওয়া অফিস
এবার ধূপগুড়ি বিধানসভা আসনে বিজেপির প্রার্থী কাকলি রায়। তাঁর স্বামী ছিলেন সেনা জওয়ান। কাশ্মীরের তিনি শহিদ হয়েছেন। ফলে একটি সেন্টিমেন্ট ফ্যাক্টর কাজ করবে বিজেপি প্রার্থীর জন্য। অন্যদিকে শাসকদলের তরফে প্রার্থী করা হয়েছে পেশায় অধ্যাপক নির্মল চন্দ্র রায়। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন ঈশ্বরচন্দ্র রায়। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর মৃত্যু হয় বিষ্ণপদ রায়ের। ফলে আসনটি ফাঁকা হয়ে য়ায়। তার পরেই এই উপনির্বাচন।
ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে জেতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি ও শাসকদল। গত শনিবার সেখানে সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সভাতেই তৃণমূলে যোগ দেন জেলার এক গুরুত্বপূর্ণ বিজেপি নেতা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের হাত ধরে বিজেপি যোগ দেন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি দীপেন প্রামাণিক। ওই যোগদানের পর অনেকেই ভেবেছিলেন ধুপগুড়িতে উপনির্বাচনের আগে এক গোল দিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু পাল্টা আক্রামণে গিয়ে সেই গোল শোধ করে দেয় বিজেপি। গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন জেলার বিশিষ্ট তৃণমূল নেত্রী ও ধুপগুড়ির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মিতালি রায়। ধুপগুড়ির নেতাজিপাড়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাত থেকে পদ্মপতাকা হাতে তুলে নেন মিতালি।
ধূপগুড়ির উপনির্বাচনের জন্য এলাহি নিরাপত্তার আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন। মোতায়েন করা হচ্ছে ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি বুথেই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। কোথাও নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখেছেন জেলা পুলিশের আধিকারিকরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রতিটি বুথে চারজন করে ভোটকর্মী থাকবেন। এছাড়া রিজার্ভ হিসেবে রয়েছেন অতিরিক্ত শতাধিক ভোটকর্মী। ভোট হবে মোট ২৬০টি বুথে। উপনির্বাচনের ভোটপর্ব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ডিসিআরসি সেন্টার থেকে ভোটকর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবার। প্রায় ১২০০ জন ভোটকর্মীর যাতায়াতের জন্য ২০টি কাউন্টার থেকে ভোটগ্রহণের সমস্ত সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪১৬ জন। ভোটগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।