Bagtui Nurder Case: বগটুইকাণ্ডে পাকড়াও উপপ্রধান ভাদু সেখ খুনে মূল অভিযুক্ত সোনা
গত ২০ জুন বগটুই কাণ্ডে প্রথম চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। ঘটনার ৯০ দিনের মাথায় বগটুই কাণ্ডে চার্জশিট জমা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা
প্রসেনজিত্ মালাকার: বীরভূমের বগটুই গ্রামে বাড়ি আগুন দিয়ে ১০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এতবড় গণহত্যা সেই ঘটনার মূল পাণ্ডাকে গ্রেফতার করল সিবিআই। গত ২১ মার্চ বগটুই মোড়ে বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান ভাদু সেখকে গুলি করে ও বোমা মেরে খুন করা হয়। সেই ঘটনার মূল অভিযুক্ত ছিল সোনা সেখ। রবিবার বীরভূমের সিউড়ির একটি জায়গা থেকে সেই সোনা সেখকে পাকড়াও করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিল সোনা। আজ তাকে রামপুরহাট আদালতে তোলা হয়। তাকে ৪ দিনের সিবিআই হেফজাতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন-Rampurhat Arson IC Suspend: বগটুই কাণ্ডে সাসপেন্ড রামপুরহাট থানার IC
মার্চের ওই দিন বগটুই মোড়ে একটি দোকানের সামনে স্কুটি থামিয়ে বসেছিলেন ভাদু সেখ। সেখানেই অতর্কিতে দলব নিয়ে হামলা চালায় সোনা। ঘচনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে ঠিক তার পরেই। ওই হত্যার বদলা নিয়ে বগটুই গ্রামে সোনা সেখের বাড়িতে বোমা, গুলি নিয়ে হামলা ছালায় বিশাল একটি দল। তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। হামলাকারীদের এতটাই দাপট ছিল যে পুলিস কাছে ঘেঁসতে পারেনি। বিকেল থেকে রাতপর্যন্ত বোম-গুলিতে কেঁপে ওঠে বগটুই। পরদিন সোনার বাড়ি থেকে ৭ জনের দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। পরে চিকিত্সাধীন থাকার সময় মারা যান আরও ৩ জন।
উল্লেখ্য, গত ২০ জুন বগটুই কাণ্ডে (Bogtui Massacre) প্রথম চার্জশিট পেশ করল সিবিআই (CBI)। ঘটনার ৯০ দিনের মাথায় বগটুই কাণ্ডে চার্জশিট (Charge Sheet) জমা দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সোমবার রামপুরহাট আদালতে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই।
নিহত ভাদু সেখ
এদিকে, বগটুইয়ে গিয়ে আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামবাসীদের মুখে গোটা ঘটনা শুনে পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি বলেন, "এখানের SDPO যখন দেখলেন একজন খুন হয়েছে, তারপরেও কেনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না? এসডিপিও, আইসি তাঁদের দায়িত্ব পালন করেনি। যারা জেনেও ব্যবস্থা নেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" স্থানীয় থানার IC নিজের দায়িত্ব পালন করেননি বলে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।