আয়ুর্বেদিক চিকিত্সকের অ্যালোপ্যাথি চিকিত্সা, ধুন্ধুমার হিন্দমোটরের নার্সিংহোমে
অভিযোগ, গোটা বিষয় ধামাচাপা দিতেই আরেকটি ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : একই রোগীর দুটি ডেথ সার্টিফিকেট, সেইসঙ্গে ভুয়ো চিকিত্সক! এই অভিযোগে হিন্দমোটরের নার্সিংহোমে ঢুকে তাণ্ডব চালাল রোগীর পরিবারের। আইসিইউ-তেও চলে ভাঙচুর। মারধর করা হয় অভিযুক্ত চিকিত্সককে। রেহাই পাননি নার্সরাও।
শনিবার রাত দুটো নাগাদ বুকে ব্যথা নিয়ে হিন্দমোটরের নার্সিংহোমে ভর্তি হন দিলীপ সরকার। উত্তরপাড়া পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর তিনি। সকালে মৃত্যুর পরে অভিযোগ ওঠে চিকিত্সার গাফিলতির। অভিযোগ, চিকিত্সক এবং নার্সিংহোমের কর্ণধার, দু' রকম ডেথ সার্টিফিকেট দেন।
দিলীপবাবুর চিকিত্সা করছিলেন গণেশ চৌধুরী। অভিযোগ, তিনি আয়ুর্বেদিক চিকিত্সক। তাঁর রেজিস্ট্রেশনও নেই। যদিও অভিযুক্ত চিকিত্সক গণেশ চৌধুরীর পাল্টা দাবি, তিনি আয়ুর্বেদিক ডিগ্রিধারী। তবে এমার্জেন্সি মেডিসিনে পুনে থেকে ইএমএস করেছেন ।
আরও পড়ুন, সদ্য প্রসূতিকে সপাটে চড়, নার্সের চূড়ান্ত অমানবিক ব্যবহার সরকারি হাসপাতালে
অভিযোগ, গোটা বিষয় ধামাচাপা দিতেই আরেকটি ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। এরপরেই নার্সিংহোমে শুরু হয় বিক্ষোভ। অভিযুক্ত চিকিত্সককে মারধর করা হয়। আইসিইউ-তে ঢুকেও চলে ভাঙচুর। পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্বে আনে।
গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজ্য চিকিত্সক ফোরাম জানিয়েছে, গণেশ চৌধুরী কোনও আরএমও নন, তিনি সহকারী চিকিত্সক মাত্র। কিছু ব্রিজ কোর্স করিয়ে সরকার তাদের মূল ধারায় চিকিত্সায় এনেছে। ডেথ সার্টিফিকেট যিনি দিয়েছেন, তিনি এমবিবিএস।
আরও পড়ুন, সম্পর্কে আপত্তি পরিবারের, বিষ খেল যুগল
রাজ্য চিকিত্সক ফোরামের দাবি, রোগীকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। তাই শুরুতে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করতে চাওয়া হয়নি। সে কারণেই পোস্ট মর্টেমের কথা বলা হয়েছিল।