গোটা পরিবারকে গিলে খেয়েছে বিষাক্ত মাশরুম, একা বাড়ি ফিরলেন চেতন রাই
১৯ এপ্রিল শিলিগুড়িতে মৃত্যু হয় আশামণি রাই(৬০)-এর। ২০ এপ্রিল মৃত্যু হয় খালি ভুজেল। এরপর একে একে মৃত্যু হয় নবীন ভুজেল, মনদীপ ভুজেল ও অমিত রাই-এর। শোকে ডুবে যায় গোটা বস্তি। নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: টানা ১৪ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বাড়ি ফিরলেন মাশরুম কান্ডের আক্রান্ত চেতন রাই (৩০)। বাবা,মা ও দাদাকে হারিয়ে শোকে পাথর প্রায় চেতন। আক্রান্ত ৭ জনের মধ্যে ইতিমধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার চেতনকে ছুটি দেয় শিলিগুড়ির বেসরকারি নার্সিংহোম। তারপর সামসিংয়ের পাহাড়ি ফরেস্ট কম্পাউন্ড বস্তিতে ফিরে আসেন তিনি। গত ১৭ এপ্রিল কম্পাউন্ড বস্তীর যুবক অন্তিম রাই পাহাড়ি জলাভূমি থেকে কিছু মাশরুম সংগ্রহ করে আনেন। সেই মাশরুম রান্নাকরে খায় এলাকার দু'টি পরিবারের ৭ সদস্য। অবশিষ্টাংশ খায় একটি বিড়াল।
আট মাসেও মেরামত হয়নি ভাঙা কালভার্ট, বর্ষার আগে প্রমাদ গুণছে রানিচিরা চা-বাগান
১৮ এপ্রিল আচমকা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে ৭ জনই । বমি - পেট খারাপ-সহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। দ্রুত তাদের মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখানেই মৃত্যু হয় শ্যাম রাই(৬৩)-এর। বাকিদের স্থানান্তর করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও একটি নার্সিংহোমে।
১৯ এপ্রিল শিলিগুড়িতে মৃত্যু হয় আশামণি রাই(৬০)-এর। ২০ এপ্রিল মৃত্যু হয় খালি ভুজেল। এরপর একে একে মৃত্যু হয় নবীন ভুজেল, মনদীপ ভুজেল ও অমিত রাই-এর। শোকে ডুবে যায় গোটা বস্তি।
নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। কবর থেকে তুলে দেহের ময়নাতদন্ত-সহ অন্যান্য পরীক্ষা হয়। মাশরুম নিয়ে বস্তিতে সচেতনতা শিবির হয়। বস্তিবাসীকে চেনানো হয় বিষাক্ত মাশরুম। এত ঘটনার পর অবশেষে মৃত্যুর সাথে লড়াই করে ফিরে এলেন চেতন।