জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব, বললেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়
তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার শুধু ৩০ শতাংশ মানুষকে নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে। বাকি ৭০ শতাংশ মানুষের দিকে তাকাচ্ছেই না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ধর্মের কারণে অত্যাচারের শিকার হয়ে যাঁরা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে এদেশে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু করবে মোদী সরকার। 'আর নয় অন্যায়' কর্মসূচিতে এসে বিজেপি নেতৃত্বের গলায় নাগরিকত্ব বিলের ইস্যু। জানুয়ারি মাস থেকে বাংলাদেশি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে, এমনই কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
শনিবার বারাসাতে কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দিয়ে 'আর নয় অন্যায়' কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ করেন। হাতে হাতে লিফলেট দিয়ে সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন,''মোদি সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেটা তারা অবশ্যই পালন করবে। রাজ্য সরকার বিরোধিতা করলেও নাগরিকত্ব দেওয়া থেকে আটকে রাখতে পারবে না। জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার শুধু ৩০ শতাংশ মানুষকে নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে। বাকি ৭০ শতাংশ মানুষের দিকে তাকাচ্ছেই না।''
बारासात (पश्चिम बंगाल) के पूर्बो मंडल से आज #AarNoiAnnay अभियान शुरू किया गया। गृहसंपर्क के साथ लोगों से सीधे बातचीत की गई और उन्हें #BJP की नीतियों से अवगत कराया गया। pic.twitter.com/9BhfMhLEnX
— Kailash Vijayvargiya (@KailashOnline) December 5, 2020
নতুন নাগরিকত্ব আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা কোটি কোটি অমুসলিমরা উপকৃত হবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০১৪ সালের নথি অনুয়ায়ী, সরকারি হিসাবে ভারতে মোট ২,৮৯, ৩৯৪ জন অবৈধ ভাবে বাস করছেন। ২০১৬ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক লোকসভায় এই তথ্য় দেয়। এরমধ্যে বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষের সংখ্যা সবথেকে বেশি। তারপরেই সংখ্য়ানুসারে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, তিব্বত, মায়ানমার, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান।
পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের আগেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের বাংলাদেশি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।