রোগ ধর্ম দেখে হয় না, নিজামুদ্দিনের জামাত ফেরতদের প্রসঙ্গে সমালোচকদের জবাব মুখ্যমন্ত্রীর

এরপরই একটি তথ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজারহাটে একটি কোয়ারেন্টিন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ২০০জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

Updated By: Apr 8, 2020, 04:51 PM IST
রোগ ধর্ম দেখে হয় না, নিজামুদ্দিনের জামাত ফেরতদের প্রসঙ্গে সমালোচকদের জবাব মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদন: "মহামারি জাতি-ধর্ম মানে না, রোগ কখনও হিন্দু-মুসলিম-খ্রীষ্টান দেখে হয় না। তাই তা নিয়ে রাজনীতি করবেন না।" নিজামউদ্দিন জামাত ফেরতদের কথা বলতে গিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি আবারও এদিন বলেন, এই জামাতে কারা কারা গিয়েছিলেন, সেটি বিদেশমন্ত্রক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেখার কথা। সেটা দেখা রাজ্যের বিষয় নয়। কিন্তু যে মুহূর্তে বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে, রাজ্য অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করেছে। তাঁদের চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নিজামুদ্দিন ফেরতদের কতদিন করোনা আক্রান্ত, সেবিষয়ে এর আগে কোনও সাংবাদিক সম্মেলনে কথা বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। তা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। তাঁদের উদ্দেশ্যে নাম না করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কেন্দ্র কিংবা রাজ্য-দুই সরকারকেই কিছু নিয়মকানন মেনে চলতে হয়। কিছুক্ষেত্রে গোপনীয়তা বজায় রাখতে হয়। আমি জানি, যে তথ্যটা মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করবে, সেটা কেনই বা প্রকাশ্যে আনব অযথা।" তবে এরপরই একটি তথ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজারহাটে একটি কোয়ারেন্টিন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ২০০জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩জন, বাড়ানো হচ্ছে পরীক্ষাকেন্দ্র, মিটেছে কিটের সমস্যা
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে পরিসংখ্যান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান.
_করোনায় রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৭১, মৃতের সংখ্যা ৫।
_বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে এই মূহূর্তে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৬। তাঁদের মধ্যে তিন জন বুধবারই ছাড়া পেয়ে যাচ্ছেন। আরও _দুজনের পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। তাঁদেরও ছেড়ে দেওয়া হবে। অর্থাত্ ৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসছেন।
_ পশ্চিমবঙ্গে কোভিড চিকিত্সা পর্যাপ্ত রয়েছে।
_এ রাজ্যে পর্যাপ্ত হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রয়েছে।

তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ করোনা মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করছে। করোনা মোকাবিলায় রাজ্য তিনটি টাস্ক ফোর্স গঠন করছে। একটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত, এটি রিলাক্সসেশন ও রেসক্ট্রিশনের বিষয়টি দেখবে। দ্বিতীয়টি অর্থনৈতিক সংক্রান্ত ও আরও একটি এনফোর্সমেন্ট ফোর্স তৈরি করা হয়েছে। এটি হোম সেক্রেটারির অধীনে।
এছাড়াও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের দেখভালে পিজি-র বিশিষ্ট চিকিত্সক ড, ঢালিকে পাঠানো হচ্ছে। তাঁকে সাহায্য করার জন্য যাচ্ছেন চিকিত্সক অভিজিত্ চৌধুরীও। গোটা বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।
লকডাউন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "শোনা যাচ্ছেন মেয়াদ বৃদ্ধি হতে পারে। সর্বদল বৈঠকে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর। তবে কেন্দ্রের তরফে কোনও নির্দেশ না এলে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।"
পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই ভালো বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি রাজ্যবাসীকে লকডাউন মেনে চলার আবেদন করেন।

.