পাঁচ দিনের জ্বর, করোনায় মৃত্যু হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার সাব ইন্সপেক্টরের
তিমধ্যে রাজ্য প্রশাসনের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাতটি জেলা। সেগুলো হল কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, শিলিগুড়ি, মালদা এবং দুই চব্বিশ পরগনা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনায় মৃত্যু হল হাওড়া পুলিস কমিশনারেটের এক সাব ইনস্পক্টরের।
হাওড়ার চ্য়াটার্জিহাট থানার ওই সাব ইন্সপেক্টর বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার সকালে কলকাতার সিএমআরআই হাসপাতালে মারা যান। হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটে এই প্রথম কোনো পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হল করোনায়।
আরও পড়ুন-করোনার বিরুদ্ধে টিকার প্রতিরোধের ক্ষমতা সীমিত, সুরক্ষার মেয়াদ অনুমান নির্ভর, মত মার্কিন বিশেষজ্ঞের
গত পাঁচদিন আগে শরীরে জ্বর নিয়ে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে কোভিড-১৯ টেস্ট নেগেটিভ আসে। এরপর তিনি জোর করে হাসপাতাল থেকে চলে আসেন। অসুস্থতা না কাটায় বাড়ির লোকজন তাঁকে তমলুকের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানেও থাকতে চাননি তিনি। আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কলকাতার সি এম আরআই-তে ভর্তি করা হয় তিনদিন আগে। এখানেই তাঁর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।
চ্যাটার্জি হাট থানার আরও একজন সাব ইনস্পেক্টর করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কমিশনারেট এলাকায় এখন পর্যন্ত একশ সাত জন পুলিশকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে, রাজ্যের কনটেনমেন্ট এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। আগামী ৯ জুলাই বিকেল ৫টা থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য জারি থাকবে লকডাউন। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সমস্ত কাজ বন্ধ থাকবে এই এলাকাগুলিতে। বন্ধ থাকবে সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি অফিস।
ইতিমধ্যে রাজ্য প্রশাসনের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাতটি জেলা। সেগুলো হল কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, শিলিগুড়ি, মালদা এবং দুই চব্বিশ পরগনা। সোমবার এই সব জেলার জেলা শাসকদের কাছে লকডাউন নিয়ে প্রস্তাব পাঠাতে বলেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। সেই অনুযায়ী জেলাগুলি নিজেদের এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পাঠিয়েছে নবান্নে।
আরও পড়ুন-মুক্তির দিন নিয়ে ধোঁয়াশা, তার মধ্যেই শুরু হচ্ছে Covaxin-এর হিউম্যান ট্রায়াল!
অন্যদিকে নবান্ন সূত্রের খবর, এই সপ্তাহের মধ্যেই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন। তা নির্দেশিকা আকারে প্রকাশ করবেন মুখ্যসচিব। তবে শুধু উত্তর চব্বিশ পরগনা নিয়ে আলাদা করে সিদ্ধান্ত হবে না। চিহ্নিত জেলাগুলো নিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।