তদন্ত চলাকালীন শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত কর্মীকে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ

ফের বিতর্কের মুখে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তদন্ত চলাকালীন শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত কর্মীকে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য, অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। ঘটনার নিন্দায় ছাত্র ছাত্রী ও অধ্যাপকদের একাংশ। মুখে কুলুপ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের।

Updated By: Apr 8, 2017, 08:42 PM IST
তদন্ত চলাকালীন শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত কর্মীকে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ

ওয়েব ডেস্ক: ফের বিতর্কের মুখে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তদন্ত চলাকালীন শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত কর্মীকে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য, অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। ঘটনার নিন্দায় ছাত্র ছাত্রী ও অধ্যাপকদের একাংশ। মুখে কুলুপ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের।

বছর খানেক আগে বিশ্বভারতীর সঙ্গে একটি MOU সাক্ষর হয় প্রসার ভারতীর।  ঠিক হয়, প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠান দেখাবে দূরদর্শন। অনুষ্ঠানগুলি পরিচালনা করতে সলিল সরকার নামে এক ব্যক্তিকে প্রোগ্রামিং অফিসার পদে নিয়োগ করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

জিওতে রিচার্জ করেছেন, কিন্তু মেসেজ আসেনি? কীভাবে বুঝবেন আপনার রিচার্জটি আদৌ হয়েছে কীনা?

দিন কয়েকের মধ্যেই সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্রদের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ ওঠে সলিল সরকারের বিরুদ্ধে গত ফেব্রুয়ারিতে সলিল সরকারের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন সাংবাদিকতা বিভাগেরই ছাত্রীরা। তদন্ত শুরু করে বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ বিশাখা কমিটি। একই সঙ্গে সলিল সরকারের ঘনিষ্ঠ অধ্যাপক থেকে শুরু করে অন্য কর্মীরা অভিযোগকারী ছাত্রছাত্রীদের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ। চাপ দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ তুলে নিতেও। 

এত অভিযোগের মধ্যেই সলিল সরকারকে ফের ৬ মাসের জন্য নিয়োগ করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আর তাতেই ক্ষুব্ধ অধ্যাপক এবং ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধানের দাবি, সলিল সরকার প্রোগ্রামিংয়ের ক্লাস নিতে আসতেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরই তাঁকে আর ক্লাস নিতে দেওয়া হয় না।

যাঁরা ৩০৩ টাকা দিয়ে জিওতে রিচার্জ করে ফেলেছেন, তাঁরা এবার কী করবেন?

ছাত্রদের অভিযোগ, সলিল সরকারের মাথায় হাত রয়েছে খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের স্বপন দত্তের। পিছনে রয়েছেন আরও অনেক অধ্যাপক। তাই এত বড় অভিযোগের পরও তাঁর কাজের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বারবার বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি অবশ্য ফোন ধরেননি।

.