বাংলাদেশ থেকে দুবাই, গরু পাচারের ভাগ পৌঁছয় জঙ্গিদের কাছেও!

গরু পাচারে যোগাযোগ চক্রের আর এক ব্যক্তি বাংলাদেশের। তার নাম হুণ্ডি গাজি। 

Reported By: সুকান্ত মুখোপাধ্যায় | Updated By: Sep 24, 2020, 11:26 PM IST
বাংলাদেশ থেকে দুবাই, গরু পাচারের ভাগ পৌঁছয় জঙ্গিদের কাছেও!

নিজস্ব প্রতিবেদন: গরু পাচারের রমরমা কারবার বাংলায়। কিন্তু টিকি বাঁধা উত্তরপ্রদেশে। গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা শুধু এদেশেই খাটে না। টাকার হেরফের চলে বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ে। গরুপাচারকাণ্ডে তদন্তে সিবিআইয়ের সঙ্গে নেমে পড়ল ইডি ও এনআইএ। ৪ শুল্ক বিভাগের অফিসার ও ৭ বিএসএফ কর্তার জড়িত বলে খবর। উঠে এসেছে হুন্ডি হাজি নামে বাংলাদেশের শিবগঞ্জের বাসিন্দার নামও। 

মাঝেমধ্যেই গো রক্ষকদের তাণ্ডবের অভিযোগ ওঠে উত্তরপ্রদেশে। আর সেই যোগী রাজ্যেই বাংলার গরু পাচার কারবারের টিকি বাঁধা। সিবিআই তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আড়ালে অনেকেই আছেন। তবে নাম উঠেছে উত্তরপ্রদেশের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্রার। বাংলায় গরু পাচারের কিংপিন এনামুল হক। মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী। তার মাধ্যমেই উত্তরপ্রদেশ থেকে ব্যবসা চলে। আনারুল শেখ, মহম্মদ মোস্তাফার মতো মুর্শিদাবাদের আরও কিছু ব্যবসায়ী লিঙ্কম্যান হিসেবে কাজ করে। পেছনে থাকেন রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা। সিবিআই তদন্তে নাম উঠেছে ৪ শুল্ক বিভাগের অফিসার ও ৭ বিএসএফ কর্তার। গরু পিছু ধার্য হয় কমিশন। 
 
গরু পাচারে যোগাযোগ চক্রের আর এক ব্যক্তি বাংলাদেশের। তার নাম হুণ্ডি গাজি। চাপাইদহের শিবগঞ্জের বাসিন্দা হুণ্ডি গাজি হাওলার মাধ্যমে দুবাই হয়ে টাকা লেনদেন করত। হাওয়ালার মাধ্যমে চলে এই টাকা লেনদেন।  দেশজুড়ে ছড়িয়ে গরু পাচারের লিঙ্ক। বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ে রমরমা কারবার। সেই হাওয়ালার টাকা যায় সন্ত্রাসবাদীদের কাছেও। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে পড়েছে এনআইএ ও ইডি।  নেপথ্যে আরও কে বা কারা? অর্থ ঠিক কীভাবে যায় জঙ্গিদের কাছে? সেই খোঁজই চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। 

আরও পড়ুন- ৩৭ হাজার পুজো কমিটির নাম রেজিস্টার, অনুদান ঘোষণায় মনে করালেন মমতাই

.